crimepatrol24
১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় দুপুর ১২:৪৩ মিনিট
  1. অনুসন্ধানী
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-আদালত
  6. আঞ্চলিক সংবাদ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আফ্রিকা
  9. আবহাওয়া বার্তা
  10. আর্কাইভ
  11. ইউরোপ
  12. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা
  13. উত্তর আমেরিকা
  14. উদ্যোক্তা
  15. এশিয়া

কালীগঞ্জে নিখোঁজের ১৭ দিন পর কিশোরীর অর্ধ-গলিত লাশ উদ্ধারের মামলার আসামি চুয়াডাঙ্গা থেকে গ্রেফেতার করল ঝিনাইদহ র‌্যাব-৬

প্রতিবেদক
মো: ইব্রাহিম খলিল
মার্চ ১৭, ২০২০ ৩:৫১ অপরাহ্ণ

জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে উপজেলার ত্রিলোচনপুর গ্রাম থেকে নিখোঁজের ১৭ দিন পর কেয়া খাতুন নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রীর অর্ধ-গলিত লাশ উদ্ধারের মামলার আসামি চুয়াডাঙ্গা থেকে গ্রেফেতার করল ঝিনাইদহ র‌্যাব-৬। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে উপজেলার ত্রিলোচনপুর গ্রাম থেকে নিখোঁজের ১৭ দিন পর কেয়া খাতুন নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রীর অর্ধ-গলিত লাশ উদ্ধারের মামলার আসামি চুয়াডাঙ্গা থেকে গ্রেফেতার করল ঝিনাইদহ র‌্যাব-৬। ঝিনাইদহ র‌্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার বজলুর রশিদ জানান, ১৬ মার্চ দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিপিসি-২, র‌্যাব-৬’র একটি চৌকস আভিযানিক দল কোম্পানী কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বজলুর রশীদের নেতৃত্বে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর থানার হাসাদা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার একজন এজাহার নামীয় আসামী ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ত্রিলোচনপুর গ্রামের সলেমানের ছেলে মিলন হোসেন (২৬) গ্রেফতার করে। আসামীকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য কালীগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয়। মিলন ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ থানার মামলা নং- ১৫, তারিখঃ ১৩/০৩/২০২০ইং। ধারা- ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড এর এজাহার নামীয় আসামী। তিনি আরো জানান, গত ৪ মাস আগে বিয়ে হয়েছিল কেয়ার মার্চের, ১ তারিখে স্বামীর বাড়িতে যাবার কথা। কিন্তু ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। পুলিশ, র‌্যাবসহ গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক সুত্রের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ২৬ ফেব্রুয়ারি বাড়ি থেকে দাদপুর মাঠের মধ্যে নিয়ে যাওয়া হয় কেয়াকে। সেখানে তিনজন উপস্থিত ছিলেন। এ সময় কেয়াকে তাদের মধ্যে একজন বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কেয়া বিয়েতে রাজি না হওয়ায় মাথায় বাশ দিয়ে আঘাত করা হয়। এ সময় কেয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সেখানেই কেয়ার মৃত্যু হয়। এরপর ওই ক্ষেতে কলাগাছ দিয়ে চাপা দেওয়া হয়। এরপর গন্ধ চারিদেকে ছড়িয়ে পড়লে ৩দিন পর বাড়ি থেকে কোদাল এনে কেয়ার মৃতদেহ মাটি চাপা দেয় হত্যাকারীরা। এরপর কেয়াকে না পেয়ে থানায় একটি জিডি করেন কেয়ার বাবা সামাউল হক সামাদ। এরপর নিখোঁজের ১৭ দিন পর গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় হত্যাকান্ডে জড়িত এজাহার ভুক্ত আসামি ত্রিলোচনপুর গ্রামের সলেমান হোসেনের ছেলে মিলন হোসনকে সোমবার দুপুরে চুংাডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার হাসদাহ এলাকা থেকে আটক করে ঝিনাইদহ র‌্যাব-৬। ছাত্রীর দাদা মোশাররফ মন্ডল জানিয়েছেন, চুলের ব্যান্ড পোশাক-পরিচ্ছদ দেখে আমরা নিশ্চিত হয়েছি এটাই আমাদের কেয়া। নিহত’র পিতা আব্দুস সামাদ জানান, পহেলা মার্চ মাসের ১ তারিখে তার মেয়েকে উঠিয়ে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই গত ২৬ ফেব্রুয়ারি তার মেয়ে নিখোজ হয়। যাবার সময় বাড়িতে রাখা তার বিয়ের খরচ বাবদ ৯০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। দু,টি গাছ বিক্রি করে মেয়ের বাবা বাড়িতে রেখেছিল। এদিকে গ্রামবাসি জানায় বিয়ে হওয়ার পর ও কেয়া গ্রামের, কিছু যুবকের সাথে মোবাইলে কথা বলতো। হয়তো কারো সাথে প্রেমের সম্পর্কও গড়ে উঠতে পারে। সেই সুত্র ধরেই কিলার গ্রুপটি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কেয়াকে হত্যার পর তার কাছে থাকা ৯০ হাজার টাকা ও কেড়ে নেয়। উল্লেখ্য, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ত্রিলোচনপুর গ্রাম থেকে নিখোঁজের ১৭ দিন পর কেয়া খাতুন নামের এক কিশোরী বধুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গত শুক্রবার দুপুরে কালীগঞ্জ উপজেলার দাদপুর গ্রামের মাঠের একটি কলাক্ষেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। কেয়া খাতুন উপজেলার ত্রিলোচনপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের মেয়ে। সে বালিয়াডাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। স্বজনরা জানান, প্রায় ৪ মাস আগে উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের মনছুর মালিথার ছেলে সাবজেল হোসেনের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সে বাড়িতেই ছিল। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ৮ টার দিকে বাড়ী থেকে সে নিখোঁজ হয়। তারপর থেকে কেয়া খাতুনের কোন খবর পাওয়া যায়নি। শুক্রবার দুপুরে দাদপুর গ্রামের মাঠে তার অর্ধ-গলিত লাশ পাওয়া যায়। নিহত’র পিতা আব্দুস সামাদ জানান, পহেলা মার্চ তার মেয়েকে উঠিয়ে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই গত ২৬ ফেব্রয়ারী তার মেয়ে নিখোঁজ হয়। যাওয়ার সময় বাড়িতে রাখা তার বিয়ের খরচ বাবদ ৯০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। তিনি বলেন, কালীগঞ্জ থানায় জিডি করলে পুলিশ ত্রীলোচাঁদপুর গ্রামের আজগার হোসেনের ছেলে আজিমকে আটক করে। পরে চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। আব্দুস সামাদ অভিযোগ করেন, তার মেয়েকে ফুসলিয়ে নিয়ে ত্রীলোচাঁদপুর গ্রামের আজিম, সলেমানের ছেলে মিলন ও আশাদুলের ছেলে ইস্রাফিল হত্যা করেছে। তবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ছানার ভাষ্য মতে এই হত্যার সাথে মিলন নামে এক যুবক জড়িত থাকতে পারে। তাকে ধরলেই এই হত্যার রহস্য বের হতে পারে। মিলনই কেয়াকে হত্যা করতে পারে বলে সন্দেহ করছি। এদিকে গ্রামবাসি জানায়, বিয়ে হওয়ার পরও কেয়া গ্রামের কিছু যুবকের সাথে মোবাইলে কথা বলতো। হয়তো কারো সাথে প্রেমের সম্পর্কও গড়ে উঠতে পারে। সেই সুত্র ধরেই কিলার গ্রুপটি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কেয়াকে হত্যার পর তার কাছে থাকা ৯০ হাজার টাকা নিয়েছে। নিহত কেয়ার পিতা জানান, মোবাইলের কল লিস্ট যাচাই করলেই কারা এই হত্যার সাথে জড়িত তা বেরিয়ে পড়বে।

Share This News:

সর্বশেষ - লাইফ স্টাইল

আপনার জন্য নির্বাচিত
সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

ডোমার জোড়াবাড়ীতে করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্য সহকারীর সচেতনতামূলক প্রচারণা

কেএমপি’র অভিযানে মাদকসহ ১ ব্যবসায়ী গ্রেফতার

মধুপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়িতে হামলা, আহত ২

সুন্দরগঞ্জে  পল্লী চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ

সুন্দরগঞ্জে পল্লী চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ

ডুলাহাজারায় চাঁদাবাজদের আইনের আওতায় আনতে মানববন্ধন

চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে স’মিল, মহাসড়কের দু’পাশে গাছের গুড়ি, বিপাকে শিক্ষার্থীরা

নাসিরনগরে ছাত্র কল্যাণ সংঘের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ

ঝিনাইদহে জেলা ছাত্রলীগের রক্তদান কর্মসূচী

মাথাভাংগা ভৈরব উচ্চ বিদ্যালয়ের আইসিটি শিক্ষিকার ইন্তেকাল

পরীক্ষা চলাকালীন রংপুরে বাণিজ্য মেলা না করার দাবিতে স্মারকলিপি