crimepatrol24
১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় সন্ধ্যা ৭:৪৮ মিনিট
  1. অনুসন্ধানী
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-আদালত
  6. আঞ্চলিক সংবাদ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আফ্রিকা
  9. আবহাওয়া বার্তা
  10. আর্কাইভ
  11. ইউরোপ
  12. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা
  13. উত্তর আমেরিকা
  14. উদ্যোক্তা
  15. এশিয়া

এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণে প্রধান অন্তরায় সরকারের আন্তরিকতা!

প্রতিবেদক
মো: ইব্রাহিম খলিল
এপ্রিল ৭, ২০২৩ ৯:১৩ অপরাহ্ণ

 

 

মো. ইব্রাহিম খলিলঃ
যুগের পর যুগ চরম বৈষম্য ও বিশৃঙ্খলায় নিমজ্জিত দেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা।
মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণা পত্রের অনুচ্ছেদ ২৩(২) -এ বলা হয়েছে- কোনরূপ বৈষম্য ছাড়া সমান কাজের জন্য প্রত্যেকের সমান বেতন পাওয়ার অধিকার রয়েছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫(খ) এ বলা হয়েছে-কর্মের অধিকার, অর্থাৎ কর্মের গুণ ও পরিমান বিবেচনা করিয়া যুক্তিসঙ্গত মজুরীর বিনিময়ে কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তার অধিকার। অনুচ্ছেদ ২০(১) এ বলা হয়েছে-কর্ম  হইতেছে কর্মক্ষম প্রত্যেক নাগরিকের পক্ষে অধিকার, কর্তব্য ও সম্মানের বিষয় এবং “প্রত্যেকের নিকট হইতে যোগ্যতানুসারে ও প্রত্যেককে কর্মানুযায়ী” এই নীতির ভিত্তিতে প্রত্যেকে স্বীয় কর্মের জন্য পারিশ্রমিক লাভ করিবেন।অনুচ্ছেদ ১৫(ক) এ বলা হয়েছে-অন্ন , বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষাও চিকিৎসাসহ জীবন ধারনের মৌলিক উপকরণের ব্যবস্থা; অনুচ্ছেদ ১৭(ক) এ বলা হয়েছে-রাষ্ট্র একই পদ্ধতির গণমুখী ও সার্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য আইনের দ্বারা নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত সকল বালক-বালিকাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষাদানের জন্য; (খ) সমাজের প্রয়োজনের সহিত শিক্ষাকেসঙ্গতিপূর্ণ  করার জন্য এবং সেই প্রয়োজন সিদ্ধ করিবার উদ্দেশে যথাযথ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত  ও সদিচ্ছাপ্রনোদিত নাগরিক সৃষ্টির জন্য; (গ) আইনের দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিরক্ষরতা দূর করিবার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।

কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক এমপিওভুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি সামনে আসলেই শিক্ষামন্ত্রী সরকারের সক্ষমতার বিষয়টি সামনে নিয়ে আসেন। অথচ শিক্ষক নেতৃবৃন্দ সরকারকে একটি সুস্পষ্ট হিসাব করে দিয়েছেন যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আয়গুলো রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা নিয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করা হলে সরকারকে একটি টাকাও ভর্তুকী দিতে হবে না। তাহলে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসা সরকারের সক্ষমতার বিষয়টি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

শিক্ষামন্ত্রী আরেকটি বিষয় তার বক্তব্যে বারবারই বলে আসছেন, ইতঃপূর্বে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা হয়েছে সেগুলোর শিক্ষার মান বাড়ছে না কমছে সে বিষয়টিও গবেষণা করে দেখতে হবে। এখন প্রশ্ন হলো গবেষণা করার পরেই তো একটি প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা হয়। আর জাতীয়করণ করার পর ওইসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান ভালো হওয়ার কারণেই বিচ্ছিন্নভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করে যাচ্ছে সরকার। এতে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে, জাতীয়করণ হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মান নিয়ে নতুন করে কোনো গবেষণার প্রয়োজন নেই। এখন প্রয়োজন কেবল সরকারের সদিচ্ছার।

এমতাবস্থায়, এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের মাধ্যমে শিক্ষাক্ষেত্রের বৈষম্য দূর করা হবে এমন আশায় বুক বেঁধে অধীর আগ্রহে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি ঘোষণার অপেক্ষায় দিন গুনছেন শিক্ষকসমাজ। দেশের এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের চাকরি জাতীয়করণের দাবি করে আসছেন। দীর্ঘ ৪৩ দিন যাবত রাজপথে অবস্থান করছেন দেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। কিন্তু আজ পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না আসায় চরমভাবে ক্ষুব্ধ শিক্ষকসমাজ। আসলে তাদের এ দাবি কতটা যৌক্তিক তা ভেবে দেখা জরুরি।একজন এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক ১ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া, ৫শ’ টাকা চিকিৎসাভাতা ও মূল বেতনের ২৫% উৎসব ভাতা পেয়ে থাকেন। নেই বদলি, পদোন্নতি ও পেনশন সুবিধা। চাকরি শেষে এককালীন সুবিধা পাওয়ার জন্য বছরের পর বছর ভোগান্তির শিকার হয়ে অনেক শিক্ষক রোগ-ব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে বিনা চিকিৎসায় এবং পরিবার-পরিজনকে নিয়ে নাখেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হচ্ছে। আর মৃত্যুর পূর্বে জাতিকে দিয়ে যাচ্ছেন অভিশাপ। শেষ জীবনে এসে অনেক শিক্ষক সময়মতো টাকা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। আটকে আছে অনেকের কণ্যার বিয়ে।

সরকারি-বেসরকারি শিক্ষকের মধ্যে আর্থিক বৈষম্যের দিকে দৃষ্টিপাত করলে দেখা যায় , একজন সরকারি শিক্ষক মূল বেতনের ৪০% থেকে ৫০% বাড়ি ভাড়া, মূল বেতনের সমপরিমাণ উৎসব ভাতা ১ হাজার ৫শ’ টাকা চিকিৎসা ভাতা পেয়ে থাকেন। এছাড়াও রয়েছে বদলি ও পদোন্নতিসহ সব ধরনের সুবিধা।এ যেন সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষকের মধ্যে পাহাড়সম বৈষম্য। সম্প্রতি এমপিওভুক্ত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের দ্বিতীয় উচ্চতর গ্রেড প্রদান করে মূলবেতন ২২ হাজার টাকা থেকে ২৩ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। ফলে সহকারী শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের মাঝে আরেকটি নতুন বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে। কারণ একজন সহকারী প্রধান শিক্ষকের মূল বেতনও ২৩ হাজার টাকা। মন্ত্রণালয়ের এমন সিদ্ধান্তে সহকারী শিক্ষক এবং সহকারী প্রধান শিক্ষকের মধ্যে আর কোনো পার্থক্য থাকল না। এধরনের সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে। কারা এধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে বিষয়টি অনতিবিলম্বে সরকারের খতিয়ে দেখা উচিত।

এতে দেখা যায়, একজন বেসরকারি শিক্ষক সামাজকিতা রক্ষা করতেও ব্যর্থ হন।পরিবার -পরিজনের ন্যূনতম চাহিদাটুকুও পূরণ করতে না পারায় তাকে মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়।অথচ বেসরকারি শিক্ষকরা সরকারি শিক্ষকদের সমযোগ্যতা ও দক্ষতা নিয়ে সমপরিমাণ কাজ করলেও আর্থিকভাবে চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এটা চলতে পারে না। তাছাড়া দেশের প্রায় ৯৭ ভাগ শিক্ষকই বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত । এসব প্রতিষ্ঠানে পাঁচ লাখের বেশি শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত আছেন। আর বাকি ৩ ভাগ সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন।সরকারি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রেও আসন থাকে সীমিত। সে কারণে প্রতিযোগিতামূলক ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে অতি মেধাবী স্বল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পায় সরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবশিষ্ট স্বল্পমেধাসম্পন্ন ও প্রায় মেধাশূন্য শিক্ষার্থীদের ঠাঁই হয় দেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। আর সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া শিক্ষার্থীদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার মহান দায়িত্বটুকু গ্রহণ করেন দেশের অবহেলিত বেসরকারি শিক্ষক সমাজ।বেসরকারি শিক্ষকদের অবহেলিত রেখে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আয় রাষ্ট্রীয় কোষাগারে নিয়ে জাতীয়করণ করা হলে সরকারের খরচও তেমন হবে না।  শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করা হলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে এদেশের প্রায় ১৭ কোটি মানুষ, শতভাগ সফল হবে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, উজ্জ্বল হবে সরকারের ভাবমূর্তি, বাস্তবায়ন হবে জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন।  তাই শিক্ষার মানোন্নয়ন জনস্বার্থ ও ন্যায়বিচারের প্রতিষ্ঠায় এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের মাধ্যমে শিক্ষাক্ষেত্রের বৈষম্য দূর করা জরুরি। আর এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ হলে এটি হবে বর্তমান সরকারের সবচেয়ে বড় সফলতা।

 

Share This News:

সর্বশেষ - লাইফ স্টাইল

আপনার জন্য নির্বাচিত
সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

ফরাসি পণ্য বয়কটের আহ্বান জানালেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান

গতানুগতিক বাজেট,দুর্নীতি বন্ধ না করলে দেশের কোন সুফল বয়ে আনবে না : বাংলাদেশ কংগ্রেস

হোমনায় ধ’র্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ১

হোমনায় ধ’র্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ১

বাংলাদেশ পুলিশ মেধাবৃত্তি, অপরাধ সভা ও খুলনা রেলওয়ে জেলার অফিসার ও ফোর্সদের উত্তম কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ নগদ অর্থ ও ক্রেস্ট প্রদান

সরিষাবাড়ীতে বসত ঘর ভাংচুর,লুটতরাজ ও মারপিটের ঘটনায় আদালতে মামলা

ডিমলায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

সরাইলে ২০ পিস ইয়াবাসহ ইয়াবা সম্রাট মামুন গ্রেফতার

ডোমারে আইডিয়াল একাডেমিতে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষর্থীদের সংবর্ধনা ও পাঠ সমাপনি অনুষ্ঠিত

ডোমারে বাড়ির সীমানাকে কেন্দ্র করে মারপিট, আটত ৪

Teens use apps to keep secrets?