
আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য নীলফামারীর ডোমারের এক শিশু সন্তান আল-আমিনের মাতৃস্নেহ কেড়ে নিতে বসেছে তার মায়ের দুরারোগ্য ব্যাধি। দরিদ্র পরিবারটি সেই ব্যাধির চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ করতে সর্বস্ব হারিয়ে এখন মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।
সরেজমিনে জানাগেছে, উপজেলার পৌর এলাকার চিকনমাটি পাঠানপাড়া গ্রামের আজহারুল ইসলামের মেয়ে আখিঁমনি। জন্মের পর থেকেই সে হৃদযন্ত্রের জটিল রোগে ভুগছে। এই অবস্থাতেই ২০বছর বয়সে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় তার মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ হয়। অনেক চিকিৎসায় জটিল রোগ দুটো কিছুটা কমলেও পিছু ছাড়েনি। এর মধ্যে দরিদ্র পিতা মেয়েটির বিয়ে দেয়। তার কোল জুড়ে আসে ফুটফুটে আল-আমিন। বর্তমানে শিশুটির বয়স মাত্র ৮মাস। নিস্পাপ ফুলের মতো এই শিশুর বাকি জীবনে মাতৃস্নেহ পাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাক্তার আশরাফুল হক ও নিউরোসার্জারীর সহযোগী অধ্যাপক ডাক্তার রাজকুমার রায়ের নিকট চিকিৎসা নিতে গেলে শিশুটির মা আখিঁমনির একটি বাল্ব নষ্ট এবং মস্তিস্কে রক্তক্ষরণে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে বলে জানান। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত ঢাকা পিজি হাসপাতালে রেফার করেন। কিন্তু সেখানে বিপুল পরিমান চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ করা আখিঁমনির দরিদ্র স্বামীর পক্ষে প্রায় অসম্ভব। তার স্বামী আশরাফ আলী সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের নিকট সাহায্যের জন্য আবেদন করে বলেন, আমার নিস্পাপ শিশু সন্তানটির মুখের দিকে তাকিয়ে সমাজের সকলকেই সাহায্যের হাত বাড়াতে অনুরোধ করছি। যেন শিশুটি তার মাতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত না হয়।
এবিষয়ে আখিঁমনি বলেন, জানিনা জটিল এই রোগ নিয়ে কতদিন আমার কলিজার টুকরাকে বুকে আগলে রাখতে পারবো। আপনারা আমার সন্তানটির দিকে চেয়ে কিছু একটা করেন। এসময় তার চোখ বেয়ে গড়ে পড়ে তপ্ত অশ্রুধারা। আর অপলক চোখে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে সন্তানের আগামী দিনগুলি শীতের কুয়াশার মতো ঝাপসা দেখছে। তাকে সাহায্যের জন্য স্বামী আশরাফ আলীর মুঠোফোন ০১৭৬৫২৪১৬১৮ নম্বরে যোগাযোগের আকুতি জানান তিনি।