মাওলানা : শামীম আহমেদ >>
মহান আল্লাহর অনুগ্রহে কিছু মানুষ এমন বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হবেন যে, তাকে কবরদেশে সাওয়াল জাওয়াবের সম্মুখীন হতে হবে না। এ বৈশিষ্ট্যের অধিকারীদের মধ্যে সর্ব প্রথম আসবে শহীদদের নাম।হযরত রাসুল (সা:) পবিত্র হাদীস শরীফে ইরশাদ করেছেন, শহীদদেরকে কবরে কোন প্রশ্ন করা হবে না কেননা মাথায় তরবারির আঘাত কবরের বিপদ হতেও কম না। যদি তার অন্তরে আল্লাহর ভয় না থেকে মুনাফিক থাকতো তাহলে সে তরবারির ভয়ে পালিয়ে যেতে পারতো। কিন্তু সে এমনটি করেনি। কাজেই প্রমাণিত হলো যে, তার ঈমানের ক্ষেত্রে সত্যই মুখলিস বা নিষ্ঠবান ছিল। দ্বিতীয় ব্যক্তি হলো ,সীমান্তরক্ষী সৈনিক যাকে প্রতিনিয়ত শুত্রুদলের সঙ্গে সংগ্রাম ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা চালিয়ে যেতে হত এ ব্যক্তির আলোচনা কোরআন হাদীসে এসেছে। পবিত্র হাদীস শরীফে হযরত রাসুল (সা:) বলেছেন, তেমনিভাবে মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র আল কোরআনেও ইরশাদ করেন। তৃতীয় ব্যক্তি হলো- যিনি মহামারি রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন কেননা সহীহ হাদীসের ভাষ্যমতে শহীদদের মিছিলের একজন। চতুর্থ ব্যক্তি হলো- আপাদমস্তক মহান আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রাসুল (সা:) ওপর সত্যবাদী আস্থা ও বিশ্বাসের অধিকারী সত্যবাদী সিদ্দিক। যাদের প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য কোথাও মিথ্যার লেশমাত্র নেই। নবীদের পরই তাঁদের স্হান। এ ব্যাপারে হযরত ইমাম তিরমিযী( রহ) ও ইমাম নববী (রহ), ইমাম কুরতবী (রহ) এভাবে সুস্পষ্ট বর্ণনা ও অভিমত পেশ করেছেন। পঞ্চম ব্যক্তি হলো অপ্রাপ্ত বয়সে কোন শিশু মারা গেলে তার কবরদেশে কোন প্রশ্নের সম্মুখীণ হতে হবে না। এ ব্যাপারে আকাইদবিদ আল্লামা আন নাসাফী (রহ) দৃঢ়তার সঙ্গে বিষয়টি ব্যক্ত করেছেন। ইমাম নববী (রহ) ও ইমাম সালাহ (রহ) সুস্পষ্ট বর্ণনা করেছেন। ষষ্ঠ ব্যক্তি হলো- জুমার রাত্রে যে ব্যক্তি মারা যাবে। এ ব্যাপারে মিশকাত শরীফে একটি হাদীসে এসেছে যে, হযরত রাসুল (সা:) বলেছেন, যে মুসলমান জুমার রাতে মারা যাবে ঐ ব্যক্তিকে কবরে কোন প্রশ্ন করা হবে না। সপ্তম ব্যক্তি হলো যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ তায়ালার রহমত প্রাপ্তির আশায় সুরা মূলক পাঠ করবে মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে কবরে কোন প্রশ্ন করা হবেনা অর্থাৎ তার কবরে কোন আযাব হবে না । হে! আল্লাহ আমাদের সকলকে কবরের কঠিন আযাব হতে রক্ষা করুন। ( আমিন)