ঝিনাইদহ প্রতিনিধি >>
ঝিনাইদহের সেই পুলিশ সদস্য শাহজালালর রহমান শোভন নিজের স্ত্রীকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠানোর পর এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ত্রীর সাথে নিজের যৌন মিলনের ছবি পোস্ট করেছেন। আর এটি তিনি করেছেন ফেসবুকে শোভনের বিরুদ্ধে পোস্ট আসার পর রিকুইমেন্ট করার সময়। বিভিন্ন ব্যক্তির প্রশ্নে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে শোভন স্ত্রী শাহানার সাথে নিজের যৌনতার ছবি পরোকিয়া বলে চালিয়ে দিয়েছেন। এ নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে তার নববধু শাহিনা খাতুন। নগ্ন ছবি প্রচারের দায়ে তারা শোভনের বিচার দাবী করেছেন।
জানা গেছে, গত ১২ মে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শেরকান্দি গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে পুলিশ সদস্য শাহজালাল রহমান শোভনের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার উমেদপুর গ্রামের জাহিদুল ইসলাম সাচ্চু মিয়ার মেয়ে শাহিনা খাতুনের। শোভন ঝিনাইদহ পুলিশ লাইনসে কর্মরত।
শাহিনা খাতুন অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকেই কারণে-অকারণে তাকে মারধর করে পুলিশ সদস্য শোভন। গত ১৭ জুন সকালে শাহিনা খাতুন ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে যাওয়ার কথা বললে গালি-গালাজ ও মারধর করে স্বামী শোভন। দুপুরে তাকে ঘরের মধ্যে আটকে রড দিয়ে মারধর করে। এমনকি তাকে গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখার চেষ্টা করে। এসময় সে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন টের পেয়ে তাকে উদ্ধারের জন্য দরজা খুলতে বলে। শোভন দরজা খুলে দিলে মেয়েটি ঘর থেকে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে শোভন তাকে ধারালো বটি দিয়ে ধাওয়া করে। তখন প্রতিবেশিরা শাহিনাকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়। শৈলকুপা থেকে পরিবারের লোকজন এসে শাহিনাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য শাহজালাল রহমান শোভন বলেন, আমি আমার স্ত্রীর মোবাইল ফোন প্রায়ই বিজি পাই, সে রুবেল নামে একটা ছেলের সাথে কথা বলতো যার নাম্বার ০১৯২৬২০৭০৭২। মোবাইল এত বিজি কেন এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে কোন জবাব দেয়নি। এছাড়াও পারিবারিক কিছু সমস্যার কারণে তাকে চড়-থাপ্পড় মারতে বাধ্য হয়েছি।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান বলেন, আমি শুনেছি শোভন কর্মস্থলে গরহাজির থাকে। তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।