জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার নারায়নকান্দী গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে চলছে অবৈধ ভাবে উত্তোলন। বালুর গর্তে পড়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে । মৃত ব্যক্তি একই গ্রামের বেলেপাড়ার মৃত গফুর মন্ডলের পুত্র আনসার মন্ডল (৮৫) । একালাবাসী ও মৃতের স্বজনরা জানান, সকাল ১১টায় প্রকৃতির ডাকে সড়াদিয়ে আনসার মন্ডল বাড়ীর কাছাকাছি আক্তার মেম্বারের বালুর গর্তের ধারে যায়। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও সে ফিরে না আসায় লোকজন খোঁজ নিলে বালির গর্তের পানিতে মৃত অবস্থায় তাকে পায়। বালির গর্তের পাড় ধসে গর্তের পানিতে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে মৃতের স্বজন ও স্থানীয়রা ধারণা করছে । ইতোপূর্বে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশসহ অভিযোগ পাওয়ার পর এই অবৈধভাবে বালি উত্তোলন বন্ধে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ ব্যবস্থা নিলে অল্প কিছুদিন বালু উত্তোলনকারীরা থেমেছিল , কিন্তু অদৃশ্য কারণে প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে আবার শুরু হয় উৎসবমূখর পরিবেশে বালু উত্তোলন । যার ফলে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটলো। এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন আমরা এখন করোনা নিয়ে ব্যস্ত। বালু উত্তোলন বন্ধে কয়েকবার ভাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছি স্পটে কাউকে পাওয়া যায়না। ব্যবস্থা নেওয়ার পর উত্তোলন বন্ধ ছিল। আক্তার এবং লাল এ কাজে জড়িত বলেও তিনি জানান। কেউ মামলা করলে ব্যবস্থা নেওয়া সুবিধা হয়। আমরা অভিযান আব্যাহত রাখবো।
এ ঘটনায় থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান এর কাছে জানতে চাইলে বলেন, এ বিষয়ে নারায়নকান্দী ফাঁড়ীর আইসির মাধ্যমে ঘটনা জেনেছি , মৃতের আত্মীয়- স্বজনরা অভিযোগ দিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
এলাকাবাসীদের ধারনা যেভাবে কয়েক বছর ধরে এই বালি উত্তোলন করা হচ্ছে তাতে নারায়নকান্দী গ্রামের শত শত একর জমি পানির নিচে বিলিয়ন হয়ে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে গোটা গ্রাম অতলগহ্বরে নিমজ্জিত হতে পারে , এলাকাবাসী এই নিশ্চিত ধ্বংস ও অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর ঘটনা এড়াতে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথসহ হরিণাকুন্ডু উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাফিস সুলতানার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ।