রংপুর ব্যুরো :
রংপুরের বাজারে শীতের সবজি আসতে শুরু করলেও দাম আশানুরূপ কমেনি। বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, গাঁজর ও টমেটোসহ বিভিন্ন সবজি। একই সঙ্গে বেড়েছে আটা, ময়দা ও ছোলার দাম। এছাড়া পোল্ট্রি মুরগির দাম কিছুটা কমলেও আলু, তেল, ডাল ও মাছ-মাংসের দাম প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি টমেটো ১৫০-১৬০ টাকা, গাঁজরের দাম বেড়ে ১৮০-২০০ টাকা, করলা ৪০-৪৫ টাকা থেকে বেড়ে ৫০-৬০ টাকা, শসা ৩৫-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০-৬০ টাকা, চিকন বেগুন ২৫-৩০ টাকা, গোল বেগুন ৪৫-৫০ টাকা, পেঁপে ১৫-২০ টাকা, লেবু প্রতি হালি ৮-১০ টাকা, কাঁচামরিচের দাম কমে ৪০ টাকা, শুকনা মরিচ ৪৫০-৫০০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ২৫-৩০ টাকা, ধনেপাতা ৪০-৫০ টাকা, কাঁচকলা হালি ২৫-৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৪৫-৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৫৫-৬০ টাকা, বরবটি ৪০-৪৫ টাকা, দুধকুষির দাম বেড়ে ৪০-৪৫ টাকা, পটল কমে ২০-২৫ টাকা, প্রতিকেজি মিষ্টিকুমড়ার দাম বেড়ে ৩৫-৪০ টাকা, চালকুমড়া (আকারভেদে) ৩০-৩৫ টাকা, ঝিঙে ৪০-৫০ টাকা, কাঁকরোল ৪৫-৫০ টাকা, শিম কেজি ৫০-৬০ টাকা, মুলা ২০-২৫ টাকা, বাঁধাকপি প্রতি পিস ৩৫-৪০ টাকা এবং ফুলকপি ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আদা ১০০-১২০ টাকা ও রসুন ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে সবধরনের শাকের আঁটি ১০-১৫ টাকা। খুচরা বাজারে কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের মতো ২৩-২৫ টাকা, শিল আলু ৪৫-৪৮ টাকা, ঝাউ আলু ৪৫ টাকা এবং সাদা আলু ৪০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সিও বাজারের সবজি বিক্রেতা মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বাজারে শীতের সবজি আসতে শুরু করলেও চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত নয়। তাই দাম বাড়তি রয়েছে। তবে আমদানি বাড়লে দাম কমবে।’
সিটি বাজারে সবজি ক্রেতা হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘বাজারে শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করলেও দাম আশানুরূপ কমেনি।’
বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে খোলা চিনি ১১০-১১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্যাকেট ও খোলা আটার দাম বেড়ে ৬৪ টাকা কেজি , ছোলা বুট ৯০-৯৫ টাকা এবং ময়দা ৭৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে স্বর্ণা (মোটা) চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। স্বর্ণা (মোটা) প্রতি কেজি ৪৮-৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৫২-৫৫ টাকা, বিআর২৮ ৬০-৬২ টাকা, মিনিকেট ৭২-৭৫ টাকা এবং নাজিরশাইল ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে আগের মতোই মসুর ডাল (মাঝারি) প্রতি কেজি ১১০-১২০ টাকা, চিকন ১৩০-১৪০ টাকা, মুগডাল ১৪০-১৫০ টাকা, বুটডাল ৭৫-৮০ টাকা থেকে বেড়ে ৮৫-৯০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি ৪০-৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৬২০-৬৫০ টাকা ও খাসির মাংস ৮০০-৯০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমে ১৬০-১৭০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ১০ টাকা দাম কমে ২৯০-৩০০ টাকা, দেশি মুরগি আগের মতোই ৪১০-৪২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুলাটোল আমতলা বাজারের মুরগি বিক্রেতা আল-আমিন বলেন, ‘সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। তবে এর চেয়ে বেশি কমার সম্ভাবনা নেই।খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৭৮ টাকা, দুই লিটার ৩৫৬ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৬০-১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’