হালিম সৈকত।। তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লার তিতাসে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা,তার ওপর কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ঘন ঘন লোডশেডিং তো চলছেই।এতে নিদ্রাহীন হয়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ৩০-৪০ মিনিট বিদ্যুৎ দিয়ে দুই ঘন্টা খবর থাকে না বিদ্যুতের। এদিকে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে ফোন দিলে ফোন ধরেন না এমন অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ-৩ এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।এই উপজেলায় লোডশেডিংয়ের মাত্রা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।দিন- রাতে সমানতালে হচ্ছে লোডশেডিং। বিদ্যুৎ এই আছে তো এই নেই,যেনো ভেলকিবাজি অবস্থা। গত এক সপ্তাহ যাবত ২৪ ঘণ্টাই বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলায় বিপর্যস্ত জনজীবন।
পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় এ অবস্থা।বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকছে দিনের অধিকাংশ সময়। গড়ে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা,কোথাও আবার এরচেয়েও বেশি সময় বিদ্যুৎ থাকছে না। লোডশেডিংয়ে ব্যাহত হচ্ছে বিভিন্ন ব্যবসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত এক সপ্তাহের তীব্র লোডশেডিংয়ে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ অনেক। তাই জীবন-জীবিকা স্বাভাবিক রাখতে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতের দাবি সবার।
গতকাল বিকেলে অটোচালক সাইফুলের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ‘ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। আমাদের অটোরিকশা ফুল চার্জ করতে পারিনা। রাতে ঘুমাতে অনেক কষ্ট হয়। এমনিতেই আমাদের এখানে তীব্র গরম চলছে,তার ওপর আবার বিদ্যুৎ থাকে না। খুব কষ্টে আছি।
কড়িকান্দি বাজার এলাকার গৃহিণী মনোয়ারা বেগম ও আয়েশা বেগম আক্ষেপ করে বলেন, ‘এই উপজেলায় ২৪ ঘন্টায় বিদ্যুৎ থাকে না ১৫-১৬ ঘন্টা। এতে ফ্রিজে থাকা সব জিনিস নষ্ট হয়ে যায়। রিচার্জেবল ফ্যান বা আইপিএস থাকলেও বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে বাসাবাড়িতে তা-ও চার্জ হয় না।’
কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লুকোচুরি খেলায় জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে এমন অভিযোগ করে উপজেলার বলরামপুর গ্রামের আলমগীর হোসেন বলেন, ‘দিন-রাত মিলিয়ে ৩০-৪০ বার লোডশেডিং হয়। তীব্র লোডশেডিংয়ে রাতে মানুষকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। লোডশেডিংয়ে রাতে মানুষ ঘুমাতে পারছে না। এ ছাড়া রাতে ভোল্টেজ কম, ফ্যান ঘুরতে চায় না। একে তো গরম,তার ওপর লোডশেডিংয়ে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা পড়েছেন মহা বিপদে। এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত বিদ্যুতের লুকোচুরি বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন কর্তৃপক্ষ।’
এবিষয়ে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর তিতাস সাব-জোনাল অফিসের এজিএম মোঃ ওসমান ফারুক সাংবাদিকদের জানান, ‘জাতীয় পর্যায়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন ঘাটতি হওয়ায় এবং পাওয়ার গ্রীডে টেকনিক্যাল সমস্যা থাকায় ফুল লোড নিতে পারছেনা। তবে এক সপ্তাহের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান করা হবে।’