আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
নীলফামারীর ডোমারে শত্রুতার জের ধরে এক কৃষকের পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলা গোমনাতী ইউনিয়নের উত্তর আমবাড়ী মাঝাপাড়া গ্রামে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উক্ত গ্রামের মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে ওসমান আলী পৈত্রিক ও কবলাকৃত জমিতে পুকুর খনন করে দীর্ঘ ২৭/২৮ বছর যাবত বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে ভোগদখল করে আসছে। প্রতিবেশী মৃত শমশের আলীর ছেলে ইয়াকুব আলী উক্ত জমিটি গোপনে নিজ নামে রেকর্ড করে নেয়। পরে ওসমান আলী বিষয়টি জানতে পেরে তাদের রেকর্ড সংশোধন করতে বললে তারা নানা প্রকার টালবাহানা করে কালক্ষেপণ করতে থাকে। এমতাবস্থায় গত ১৫ আগস্ট দুপুরে ওসমান আলী উক্ত পুকুরে মাছের পোনা ছাড়তে গেলে ইয়াকুব আলীর ছেলে মিজানুর, মোজাফ্ফর, রেজাউলের ছেলে আল আমিন রবিউলসহ অনেকে মাছের পোনা ছাড়তে বাধা প্রদান করে এবং এক পর্যায়ে পুকুরের চারপাশে থাকা বাঁশের ঘেরা-বেড়া ভাংচুর করে। ওসমান আলীর ছেলে আলমগীর, স্ত্রী জাহেদা ও ছেলের বৌ ফেন্সি এগিয়ে গেলে বিবাদীরা তাদের কিলঘুষি ও মারধর করে। পরদিন ১৬আগস্ট আবারো ওই পুকুরে মাছের পোনা ছাড়তে গেলে এক পর্যায়ে বিবাদীগণ ওসমান আলীর স্ত্রী জাহেদা খাতুনকে ধাক্কাপিটা ও মারধর করে মাটিতে ফেলে দেয়। তাদের আঘাতে জাহেদা খাতুন গুরুতর আহত হয়। পরে এলাকাবাসী মোজাম্মেল, আব্দুল কাদের, সুফি জাহেদা খাতুনকে তাদের কবল হতে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এরই জের ধরে ওই রাতে বিবাদীগণ ওসমানের পুকুরে বিষ জাতীয় পদার্থ দেয়। পরদিন সকাল থেকে উক্ত পুকুরের সমস্ত মাছ মরে পানিতে ভেসে উঠে। ওসমান আলী ধারণা করেন শত্রুতার জের ধরে বিবাদীগণ পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধন করেছে। এতে করে প্রায় ১২ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন হয়। এ বিষয়ে ওসমান আলী বাদী হয়ে মিজানুর, মোজাফ্ফর, রেজাউলসহ মোট ৯জনের বিরুদ্ধে ডোমার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন যার নম্বর-৯৮২, তারিখ-১৮/০৮/২১।
ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমার ডায়েরীর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।