crimepatrol24
৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় সন্ধ্যা ৬:৫১ মিনিট
  1. অনুসন্ধানী
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-আদালত
  6. আঞ্চলিক সংবাদ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আফ্রিকা
  9. আবহাওয়া বার্তা
  10. আর্কাইভ
  11. ইউরোপ
  12. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা
  13. উত্তর আমেরিকা
  14. উদ্যোক্তা
  15. এশিয়া

ডিসিদের রিটার্নিং অফিসার করা অসাংবিধানিক: বাংলাদেশ কংগ্রেসের মানববন্ধনে বক্তারা

প্রতিবেদক
মো: ইব্রাহিম খলিল
সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০ ১০:২৪ অপরাহ্ণ

আবু সায়েম মোহাম্মদ সা’-আদাত উল করীম: জেলা প্রশাসকের পরিবর্তে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা, নির্বাচনের দিন দলীয় ক্যাম্প ও জনসমাগম নিষিদ্ধ করা এবং নির্ধারিত স্থান ছাড়া পোস্টার টাঙানো ও সভা বন্ধের দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেছেন, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা না থাকায় সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা ভর করছে। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের উদ্যোগে আজ ২৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল ১০টায় উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ কংগ্রেসের চেয়ারমান অ্যাড. কাজী রেজাউল হোসেন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ সকল প্রকার নির্বাচনে নির্বাহী বিভাগের হস্তক্ষেপ বন্ধের আহবান জানান। বক্তৃতাদানকালে বাংলাদেশ কংগ্রেসের চেয়ারমান অ্যাড. কাজী রেজাউল হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান এবং তাদের মূল কাজ নির্বাহী বিভাগের সহায়তায় সকল প্রকার নির্বাচন পরিচালনা করা। কিন্তু জেলা প্রশাসকদেরকে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে তারা আত্মঘাতি কাজ করেন যাতে তাদের স্বাধীন স্বত্বা ক্ষুন্ন হয়। জেলা প্রশাসকরা নির্বাচন পরিচালনাকারী হতে পারেন না। কারণ সাংবিধানিক বাধা আছে। সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য হইবে”। জেলা প্রশাসকগণ প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী বিভাগে কর্মরত আছেন। তাই তারা নিজেরা সরাসরি নির্বাচন পরিচালক হতে পারবেন না। বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব অ্যাড. মোঃ ইয়ারুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ বলেন, নির্বাচনী প্রচারে জনদুর্ভোগ ও কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ করতে নির্বাচনী আচরণবিধি সংশোধন করতে হবে। অতিরিক্ত পোস্টার ব্যবহারে একদিকে যেমন কাগজের অপচয় হয়, অন্যদিকে তেমনি পরিবেশ নষ্ট হয়। কোন কোন প্রার্থী রাতারাতি পোস্টার দিয়ে সব জায়গা দখল করে ফেলে, যার ফলে সব প্রার্থীরা পোস্টার মারার সমান সুযোগ পান না। যত্রতত্র জনসভা ও মাইকের ব্যবহার অতিমাত্রায় শব্দ দূষণ ঘটায় যা শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণির মানুষের জন্য ক্ষতিকর ও বিরক্তিকর। স্বাস্থ্য বিধির আওতায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাড. মোঃ শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. মোঃ আব্দুল আওয়াল, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল মোর্শেদ, দলের ন্যাশনাল সিনেটের সদস্য নাজমুল হক বাদল, স্বাস্থ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. দেবদাস সরকার, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা আনোয়ার রিপন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে অংশগ্রহনকারী বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মোঃ আয়াতুল্লাহ ওরফে আক্তারুজ্জামান, বাংলাদেশ নাগরিক জোট-বিএনজে’র চেয়ারম্যান এইচ. সিদ্দিকুর রহমান খোরশেদ,গণ রাজনৈতিক জোট-গর্জো’র সভাপ্রধান সিয়দ মইনুজ্জামান লিটু প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

নেতৃবৃন্দ মনে করেন, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা না থাকায় সৎ ও যোগ্য জনপ্রতিনিধি তৈরী হচ্ছে না। পাপলুর মতো কালো টাকার মালিকরা টাকার বিনিময়ে জনপ্রতিনিধি বনে যাচ্ছে। ফলে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না। অসৎ ও দুর্নীতিবাজ জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রশাসনে জেঁকে বসে বেপরোয়া ও স্বেচ্ছাচারী আচরণ করছে। ক্রস ফায়ার, খুন, গুম, ধর্ষণ, টাকা পাচারসহ সব ধরণের অপরাধ ও দুর্নীতি সংঘটিত হচ্ছে এসব জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের ছত্রছায়ায়। যেনতেন প্রকারে নির্বাচিত হয়েই এসব জনবিচ্ছিন্ন জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের আখের গুছাতে ব্যস্ত হয়ে ওঠে। তাদের হাতে উপেক্ষিত থাকে দেশ ও দেশের জনগণ। দুর্যোগের সময় ত্রাণ চুরির মহোৎসবে নামে তারা। দেশকে ভয়াবহ বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচাতে হলে দরকার একটি সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থা। নির্বাচনকে প্রশাসনের প্রভাবমুক্ত করতে না পারলে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আদৌ সম্ভব নয়। এজন্য নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার জরুরি। নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারে সর্বদলীয় কমিটি গঠনের আহ্বান জানান বক্তারা।

Share This News:

সর্বশেষ - লাইফ স্টাইল

আপনার জন্য নির্বাচিত