মো. ইব্রাহিম খলিল:
গত মার্চ-২০২৩ মাস থেকে শুরু করে দীর্ঘ ৪৪ দিন জাতীয় প্রেসক্লাবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করার পরেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার আশ্বাস না পাওয়ায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থে কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত করেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোটের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মো. মাঈন উদ্দিন। এরই ধারাবাহিকতায় মহাজোট নেতৃবৃন্দ আজ (৩ জুন,২০২৩ খ্রি.) শনিবার আবারও এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। উক্ত কর্মসূচির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন সিলেট-২ আসনের এমপি মোহাম্মদ মোকাব্বির খান।
এমপি মোকাব্বির খান তার বক্তব্যে বলেন, ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে আগামী সোমবার মহান জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে কথা বলব।’
এছাড়াও আগামী ৭-৮ জুন এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করার ঘোষণা দিয়েছে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোট। শিক্ষায় বৈষম্য নিরসনসহ জাতীয়করণের জন্য বাজেটে অর্থ বরাদ্দ না থাকায় এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সংগঠনটি। একইসঙ্গে বাজেটে জাতীয়করণের জন্য সংশোধনী প্রস্তাব না এলে অবিরাম কর্মবিরতির ঘোষণা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
শনিবার (৩ জুন২০২৩ খ্রি.) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে এ কর্মসূচির ঘোষণা করেন মহাজোটের সদস্যসচিব জসিম উদ্দিন আহমেদ।
এ সময় তিনি বলেন, ‘কোনোরকম ভর্তুকি ছাড়াই প্রতিষ্ঠানের আয় থেকেই জাতীয়করণ সম্ভব এই মর্মে হিসাবসহ প্রস্তাবনা আমরা শিক্ষা, অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছিলাম। আমাদের বিশ্বাস ছিলো ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় এমপিওভুক্ত শিক্ষায় বৈষম্য নিরসনে প্রস্তাবনা থাকবে কিন্তু এ বিষয়ে কোনো প্রস্তাবনা না থাকায় এবং বিভিন্ন মিডিয়ায় সরকারি কর্মচারীদের মতো এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদেরও বেতন অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট দিয়ে দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সমন্বয়ের নেতিবাচক সংবাদ আমাদেরকে হতাশ করেছে।’
জসিম উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষক-কর্মচারীরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি যথেষ্ট ক্ষুব্ধ এবং মহাজোট নেতাদের প্রতি কঠোর কর্মসূচির আহ্বান জানিয়েছেন । এমতবস্থায় আমরা ৭ এবং ৮ জুন সব এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা করছি। এর মধ্যে চলমান বাজেটে জাতীয়করণের জন্য সংশোধনী প্রস্তাব না আসলে পরবর্তী সময়ে নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে অবিরাম কর্মবিরতির ঘোষণা করা হবে।’
মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, প্রিন্সিপাল দেলাওয়ার হোসের আজীজী, ড. ইদ্রিস আলী, অধ্যক্ষ আফজল হোসেন তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, শাহ আলম, তালুকদার আব্দুল মান্নাফ, বেণীমাধব দেবনাথ, মো মোহসিন আলী, শেখ মো. জসিম উদ্দিন, মেসবাউল ইসলাম প্রিন্স, বাসেত আলী, রাকিবুর রাসেল, আব্দুল জব্বার, মতিউর রহমান দুলাল, আশরাফুজ্জামান হানিফ, আফজালুর রশীদ, ফরিদ উদ্দিন, মোস্তফা কামাল, ঝর্ণা বিশ্বাস, আমাতুন নাহার, তোফায়েল সরকার, মামুনুর রশিদ,মহিবুল্লা মুজাহিদ, নূরুল রামীন হেলালী, দেলোয়ার হোসেন, আতিক তালুকদার, আব্দুল মতিন, লুৎফুর রহমান,আবুল বাসার, আবুল বাসার নাদিম, মো. গোলাম ফারুকী, কামরুজ্জামান চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন, জাফর আলী, মিজানুর রহমান, আবু ইউসুফ, ফয়জুল আমীন, শারমীন আক্তার প্রমুখ।