আবু সায়েম মোহাম্মদ সা’-আদাত উল করীম:
জামালপুর শহরের বিজবি ৩৫ ব্যাটালিয়নের সাথেই পাথালিয়া গ্রাম। ইতোপূর্বেও বিজিবি ক্যাম্প থেকে ছুটে গুলী এসে বেশ কয়েকজন গুলীবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছিলেন।
এমটি জানিয়েছে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় গ্রামে বসবাস করেন এমন একজন আইনজীবীসহ বেশ কয়েক জন এলাকাবাসী। ধারণা করা হচ্ছে বৃহস্পতিবার দুপুরে ২৮ নভেম্বর মাথায় গুলী লেগে গুরুতর আহত হলেও প্রাণে বেঁচে গেছে শিশু জ্যোতি আক্তার (৮)। তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পাথালিয়া গুয়াবাড়িয়া এলাকায় দরিদ্র রাজমিস্ত্রি শ্রমিক জামাল উদ্দিনের ঘরে এ ঘটনা ঘটে। জ্যোতি স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
গুরুতর আহত জ্যোতির বড় বোন সুরাইয়া আক্তার জানায়, সে তার ছোট বোন জ্যোতিকে নিয়ে ঘরের ভেতরে মেঝেতে মাটিতে বসে দুপুরের ভাত খেতে বসেছে। তখন বেলা আনুমানিক ২টা বাজে। এমন সময় আকস্মিক একটি গুলী তাদের ঘরের টিনের বেড়া ভেদ করে ভেতরে ঢুকে ছোট বোন জ্যোতির কপালের ডানপাশে মাথায় আঘাত করে গুলীটি মাটিতে পড়ে যায়। প্রতিবেশীরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে জামালপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
স্থানীয়দের দাবি, বিজিবি ক্যাম্প থেকেই গুলীটি এসেছে। খবর পেয়ে বিজিবি কর্মকর্তারা হাসপাতালে গিয়ে শিশুটির খোঁজখবর নেন।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশুটি বর্তমানে শঙ্কামুক্ত।
জামালপুরস্থ বিজিবির ৩৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল এস এম আজাদ সাংবাদিকদের জানান, শিশুটি গুলীবিদ্ধ হয়েই আহত হয়েছে কিনা তা ফরেনসিক পরীক্ষার পর জানা যাবে। তবে শিশুটির চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বিজিবি বহন করবে।