হালিম সৈকত,কুমিল্লা।।
কুমিল্লার তিতাসে স্বপন হ*ত্যার আসামী রাহিম বাবুকে হ*ত্যার উদ্দেশে হা*মলার অভিযোগ ওঠেছে।
সরেজমিনে জানা যায়, ২৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে স্বপন হ*ত্যার ৪নং আসামী রাহিম বাবুকে ওমরপুর মসজিদের সামনে একা পেয়ে নিহত স্বপনের ছোট ভাইসহ কতিপয় লোকজন তাকে হ*ত্যার উদ্দেশে ধরে নিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে এলাকা বাসী তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল প্রেরণ করে।
উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে গ*ণপিটুনি দিয়ে সোবহান ভূইয়ার ছেলে স্বপনকে হ*ত্যা করে ২৫-৩০ জনের একটি গ্রুপ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ- সে মাদক সেবন করে ও বিক্রি করে। পরে তিতাস উপজেলার জগতপুর ইউনিয়নের ওমরপুরে নিহত স্বপনের বোন বাদী হয়ে ২৫ জনকে আসামী করে তিতাস থানায় একটি হ*ত্যা মামলা দায়ের করে। এই মামলার একজন তালিকাভূক্ত আসামী হলেন ওমরপুর গ্রামের শামসুজ্জামানের ছেলে রাহিম বাবু। সে দীর্ঘদিন এলাকার বাইরে ছিলো। অসুস্থ হওয়ায় কয়েক দিন আগে বাড়িতে আসে। তাকে রাস্তায় একা পেয়ে হ*ত্যার উদ্দেশে তার উপর আ*ক্রমণ করে বাদীর ভাই আলী আহমেদ গং এমনই অভিযোগ করেন বাবুর বড় ভাই আনিসুর রহমান সোহেল। পরে পুলিশ আসলেও বাবুকে পায় নি। সে বর্তমানে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী রাহিম বাবুর বাবা শামসুজ্জামান বলেন, ‘মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদেরকে হয়রানি করছে। আমার ছেলে ওখানে থাকলেও স্বপনকে বাঁচাতে চেষ্টা করেছে অথচ আমাকেসহ মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে।’
অপরদিকে সোবহান ভূইয়ার ছেলে নিহত স্বপন ভূইয়ার ছোট ভাই আলী আহমেদ ভূইয়া বলেন, ‘আমি তো আমার ভাই এর খু*নিকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করার চেষ্টা করেছি। পুলিশে দেওয়ার আগেই তারা আমাকে মে*রে আহত করে খু*নি রাহিম বাবুকে ছি*নিয়ে নিয়ে যায়। আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। রাস্তায় বের হতে পারছি না। তারা আমাকে বার বার হ*ত্যার হুমকি দিচ্ছে।’
পরে তিতাস থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন বলে জানা যায়।