
সুজন মহিনুল, নীলফামারী রিপোর্টার।। নীলফামারীর ডিমলায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও কর্মকর্তার সিলমোহর,বাংলাদেশ,ভারত, পাকিস্তানের স্ট্যাম্প,জা’ল দলিল ও প্র’তারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামসহ দুই প্র’তারককে আটক করেছে ডিমলা থানা পুলিশ।
আকটকৃতদের নামে মামলা দায়েরের পর শুক্রবার(১১ নভেম্বর)বিকেলে আদালতে পাঠালে বিচারক তাদের কারাগারে প্রেরণ করেন।তারা হলেন-ডিমলা সদর ইউনিয়নের সরদারহাট গ্রামের মৃত, কছির উদ্দিনের পুত্র মাজেদুল ইসলাম(৫২) উত্তর তিতপাড়া গ্রামের নছিমুদ্দিনের পুত্র রফিকুল ইসলাম ভুট্টু(৫০)।দীর্ঘদিন যাবত তারা জাল দলিল তৈরি ও দলিলের বিশেষ কিছু অংশ পরিবর্তনের মাধ্যমে প্র’তারণা করে আসছিলেন।
জানা যায়,বৃহস্পতিবার(১০ নভেম্বর)দিবাগত গভীর রাতে(শুক্রবার ১১ নভেম্বর ভোরে)গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সহকারী পুলিশ সুপার(ডোমার-ডিমলা সার্কেল)আলী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ’র দিক নির্দেশনায় ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)লাইছুর রহমান ও ওসি(তদন্ত)বিশ্বদেব রায়ের নেতৃত্বে এসআই প্রদীপ কুমার রায়,আখতারুজ্জামান,জহুরুল ইসলাম,জগদীশ রায়,জাহিদ হাসান,পিএসআই জয়ন্ত কুমার রায়সহ সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান চালিয়ে প্রথমে মাজেদুলকে তারপর তার দেয়া তথ্য মতে ভুট্টুকে নিজ-বাড়ি থেকে আটক করেন।আটকের সময় তাদের কাছ থেকে সাবরেজিস্ট্রিসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও দপ্তরের কর্মকর্তাদের ১৬৫টি তৈরি সিল ও বিভিন্ন মূল্যের ফাকা ২৮টি স্ট্যাম্প,২৩টি মুছেফেলা স্ট্যাম্প,২টি দলিলের জাবেদা নকলসহ তিন পাতার অস্পষ্ট ভারতীয় ১টি দলিল।চার আনা সমমান মূল্যের পাকিস্তান সময়ের ১টি স্ট্যাম্প,কালার লিগ্যাল কাগজ ২০ পিস, দলিল লেখা তরল রাসায়নিক দ্রব্যের ১৮টি বোতল,লাল ও কালো রঙের ২টি স্ট্যাম্প প্যাডসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম পাওয়া যায়।পরে আটককৃতদের বিরুদ্ধে ডিমলা থানার এসআই জাহিদ হাসান বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)লাইছুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,আটককৃতদের মধ্যে ভুট্টু পুরনো দলিল সংগ্রহ করে দলিলের লেখা কেমিক্যাল দিয়ে তুলে ফেলার কাজে পারদর্শী ও মাজেদ জাল দলিল তৈরির কাজে পারদর্শী।তাদের কাছে ছিলো বিভিন্ন দপ্তর ও দপ্তরের কর্মকর্তাদের অনেক সিলসহ জাল দলিল তৈরির নানান সরঞ্জাম।আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে শুক্রবার বিকেলে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের কারাগারে প্রেরণ করেন।