দিলীপ কুমার দাস, জেলাপ্রতিনিধি, ময়মনসিংহঃ
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার সাখুয়া ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামে জমী সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বসতঘরে হা’মলা ও দেলোয়ারা খাতুন নামের এক নারী গু’রুতর আ’হত হয়েছে। এ ঘটনায় ত্রিশাল থানায় শনিবার (৬ আগস্ট) একটি মামলা দায়ের করেছেন আহত নারীর স্বামী আব্দুল আওয়াল (মামলা নং-০৭)।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে জমি-জমা ও পরিবারিক বিষয় নিয়া বিবাদ চলে আসছিল। বিবাদীরা বাদীর পরিবারের লোকজনদের খুন করার জন্য সময় সুযোগ খুঁজিতে ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় বিবাদী মোবারক হোসেন (৪৫), আবুল কালাম (৫৫), আবুল কাশেম (৬৭), জিহাদ (২০) উপরোক্ত সকল বিবাদীরা বৃহস্পতিবার (০৪ আগস্ট) সন্ধ্যার সময় ধারালো অস্ত্র, লোহার রড বাঁশের লাঠি সহ এক বেআইনী জনতাবদ্ধে আবদ্ধ হইয়া বাদীর বসত বাড়ীর বাড়ির আঙ্গীনায় অনধিকার প্রবেশ করে ছেলে শামীমকে খুন করার জন্য আক্রমন করলে বসতঘরে আশ্রয় নেয়।
বিবাদীরা ঘরের দরজা ভা’ঙ্গিয়া ঘরে উঠার সময় বাদীর স্ত্রী মোছাঃ দেলোয়ারা খাতুন বাধা দিলে বিবাদী আবুল কাশেম এর হুকুমে বিবাদী মোবারক তাহার হাতে থাকা ধা’রালো দা দিয়া স্ত্রী দেলোয়ারা খাতুন (৫৮) কে খু’ন করার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ করিয়া স্বজোরে কো’প মারিয়া কপালের উপরে গু’রুতর কা’টা র’ক্তাক্ত জখ’ম করে। অন্যান্য বিবাদীরা শরীরের বিভিন্ন স্থানে জ’খম করে। আহতাবস্থায় প্রথমে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়েগেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে প্রেরণ করেন, এ রিপোর্ট পর্যন্ত এখনো চিকিৎসাধীন। ঘটনার সময় বিবাদী জিহাদ আ’হত নারীর গলায় থাকা একটি এ সোনার চেইন গলা হইতে ছি’ড়ে নিয়ে যায়।
বিবাদীরা মামলার বাদী আব্দুল আওয়াল কে এলোপাথারী ভাবে মা’রপিট করে আহত করে।
বিবাদীরা তাদের হাতে থাকা অস্ত্র দেখিয়ে খু’ন করিয়া লা’শ গু’ম করে ফেলার হুম’কি দিয়া চলে যায়। উপরোক্ত বিষয়ে বিবাদীদের কাছে জানতে চেয়ে বাড়িতে গেলে কাউকে খোঁজে পাওয়া যায়নি।
মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস.আই মঞ্জুরুল বলেন, থানায় মামলাটি রেকর্ড হয়েছে, আসামী ধরার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।