মো. আক্তার হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি>>
কুমিল্লার হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ে বড় ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুছ ছালাম সিকদারসহ অন্যান্য রোগীরা। খসে পড়া পলেস্তরার আ-ঘা-তে দুই জন রোগী সামান্য আ-হ-ত হয়েছেন। এদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার সকাল দশটার দিকে হাসপাতালে রোগী দেখার সময় স্বাস্ত্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কক্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় ওই কক্ষের রোগীদের চিৎকার চেচামেচির শব্দে আশ পাশের অন্যান্য রোগী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আ-ত-ঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হাসপতালের পুরোনো ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, মাত্র কয়েক মাস আগে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেরামত কাজ শেষ হয়েছিল। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কক্ষটিসহ হাসপাতালের অন্যান্য কক্ষও সংস্কার ও মেরামত কাজ সম্পন্ন করেন মেসার্স হাসনা হবিব ইন্টারন্যাশনাল নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সেবা পেতে আসা রোগী ও সাধারণ মানুষ হাসপাতালের নিম্নমানের এই সংস্কার ও মেরামত কাজের জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আগত এক রোগী সোহরাব হোসেন বলেন, ‘কাজের নামে লেপ পোছ দিয়েই সরকারের টাকা মেরে দিয়েছে। কাজের কাজ কিছুই করেনি। যদি সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সঠিকভাবে কাজ হতো, তাহলে আজ হাসপাতালে এই দুর্ঘটনা ঘটতো না।’
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুছ ছালাম সিকদার বলেন, আজ একটি বড় ধরনের বিপদ থেকে বেঁচে গেছি। ভাগ্য ভালো কেউই ছাদ থেকে পলেস্তরা খসে পড়ার বরাবর অবস্থানে ছিল না। তাও কিছুটা পড়েছে দু’এক জনের ওপরে। এতে সামান্য আহত হলেও মারাত্মক কিছু ঘটেনি। হাসপাতালের এই ভবনটি অনেক পুরোনো। এখনই এটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে সব সুবিধাসংবলিত একটি আধুনিক ভবন নির্মাণ করা প্রয়োজন। তাহলেই রোগীসেবা নিশ্চিত হবে।