
মো. ইব্রাহিম খলিল, হোমনা, কুমিল্লা>>
কুমিল্লার হোমনায় মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে । এ ঘটনার পর দু’সন্তানকে নিয়ে স্বামী পলাতক রয়েছেন । শনিবার উপজেলার নিলখী ইউনিয়নের চম্পকনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে । নিহত নাছিমা আক্তার (৩০) নামে দুই সন্তানের জননীর লাশ মরিচ ক্ষেত থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেছে পুলিশ। সে চম্পকনগর গ্রামের ওহাব আলীর মেয়ে । এ ঘটনার পর ১৪ বছরে ছেলে বাওয়ান ও ১০ বছরের মেয়ে জাকিয়াকে নিয়ে পালিয়েছে স্বামী জাকির হোসেন। সে ছয়ফুল্লাকান্দি গ্রামের মো. দাদন কাজীর ছেলে। পুলিশের ধারণা , রাতের কোনো এক সময় শ্বাসরোধ করে নাছিমাকে হত্যা করার পর পাশের মরিচ ক্ষেতে ফেলে রাখা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত নাছিমা আক্তারের সঙ্গে তার স্বামী জাকির হোসেনের প্রায় সময়েই ঝগড়া বিবাদ হত । শুক্রবার তার স্বামী তাকে মারধর করলে বাবার বাড়িতে চলে আসে নাছিমা আক্তার ।পরে হোমনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাবার বাড়ি চম্পকনগর চলে যায় । শুক্রবার রাত দশটার দিকে তার স্বামী চম্পকনগর তার বাড়ির পাশে এসে মোবাইলে ফোন করলে মাকে বলে নাছিমা ঘর থেকে বের হয়ে যায় । আসতে দেরী হলে তার স্বজনরা খোজাখুঁজি শুরু করে । অনেক খোজাঁখুজির সকালে বাড়ির আশে পাশের লোকজন মরিচ ক্ষেতে লাশ দেখতে পায় । পরে পুলিশকে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মর্গে পাঠানো হয় ।
নিহতের ভাই আনোয়ার হোসেন জানান, আমার বোনকে তার স্বামী প্রায়ই নির্যাতন করতো। কয়েক দফা বিচারও হয়েছে। কয়েক দিন আগে তাকে মারধর করলে সে আমাদের বাড়িতে চলে আসে। জাকির হোসেন আমার বোনকে হত্যা করেছে । আমরা এর বিচার চাই ।
হোমনা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কায়েস আকন্দ বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে এ হত্যাকাণ্ডের সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে (হোমনা- মেঘনা) সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফজলুল করিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ।