
কামরুল হক চৌধুরী, বিশেষ প্রতিনিধি>>
কুমিল্লার হোমনা উপজেলার দড়িচর গ্রামের মো: নাসির উদ্দিন। ২২ বছর দুবাই থাকার পর ২০১৭ সালে দেশে এসে শুরু করেন টার্কিমুরগীর খামার। কঠোর পরিশ্রম এবং সততা তাকে এনে দেয় এক বিরাট সাফল্য। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের পরামর্শে তিনি গড়ে তোলেন “নাদিম এগ্রো পোল্ট্রি এন্ড হেচারী”। এখন তার ফার্মে বিভিন্ন জাতের ফেন্সিমুরগীসহ ১২ টি উন্নতজাতের গাভীও রয়েছে। তিনি নিজেই দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করেন বাচ্চা ফুটানোর মেশিন ইনকিউবেটর। ডিম থেকে বাচ্চা উৎপাদন করার পদ্ধতি নিজের হওয়ায় তিনি এখন অধিক লাভবান হচ্ছেন। মিশরী ফাউমি, গলাছিলা এবং আমেরিকার ব্রাহামা মুরগীও রয়েছে তার ফার্মে।
এ বিষয়ে নাদিম এগ্রো’র স্বত্বাধিকারী নাসির উদ্দিন জানান, দীর্ঘদিন প্রবাসে থেকে দেশে এসে তিনি টার্কিমুরগীর খামার শুরু করেন। লাভবান হওয়ায় তিনি ফার্মেটির আরও সম্প্রসারণ ঘটান। এখন তিনি ইন্ডিয়ান মুন্ডি জাতের গাভী আনার চেষ্টা করছেন। তাকে প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা হয় জানিয়ে বলেন- ভেটেরিনারী ফিল্ড এসিস্ট্যান্ট মাহমুদা আক্তার এবং উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ নাছিরুদ্দিন ভূঁইয়া প্রায় সময়ই তার ফার্মটি দেখতে আসেন এবং পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, আজকাল অনেক শিক্ষিত যুবকরা আমার ফার্ম দেখে খুব উৎসাহী হয়ে উঠেছে এবং আমার পরামর্শে কেউ কেউ ফার্মও গড়ে তুলছে। মাত্র ক’দিন আগেই আমার পরামর্শ নিয়ে জিয়ারকান্দি গ্রামের বিল্লাল মোল্লা তার বাড়ীর ছাদে ছোট আকারের একটি ফার্ম গড়ে তুলেছেন।
হোমনা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম জানান, নাদিম এগ্রো ফার্মটি অত্যন্ত ভালো করছে। আমরা তাকে ঔষধপত্রসহ সম্ভব সকল প্রকার সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছি। তার এই ফার্মটি দেখে অনেক যুবকও এরকম ফার্ম গড়ে তুলতে আগ্রহী হচ্ছে। এতে কিছুটা হলেও বেকার সমস্যার সমাধান হবে।।