
তৌকির আহাম্মেদ হাসু সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধিঃ
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মাদকের প্রতিবাদকারী মহিলা গ্রাম পুলিশ সদস্য রিনা রবি দাস (৪৫) কে পিটিয়ে দুই ঠ্যাং ভেঙ্গে দিয়েছে মাদকসেবীরা।গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের চাপারকোনা মধ্যে পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় ও আহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের চাপারকোনা মধ্য পাড়া গ্রামের মৃত দীনেশ রবি দাসের স্ত্রী মালতি রবি দাসের বাড়ীতে গত সোমবার (২৫ মে) রাত ১ টার দিকে একই গ্রামের দুল্ল্যু কামারের ছেলে হত্যা মামলার জামিনে আসা আসামী আনোয়ার হোসেন(৩৫),জালাল উদ্দিনের ছেলে কামাল উদ্দিন(২৭),মৃত দুলাল মিয়ার ছেলে বাবলু মিয়া (৩২)মদ এনে দিতে বলে। এতে মালতি রবি দাস অস্বীকৃতি জানালেও জানালা দিয়ে টাকা ফিকে দেয়।এ নিয়ে মালতি রবি দাসকে আনোয়ার হোসেন, কামাল, বাবলু অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ নানা হুমকি দিয়ে চলে যায়। মালতি রবি দাস তার জাঁ মহিলা গ্রাম পুলিশ সদস্য রিনা রবি দাস(৪৫)কে অবগত করলে তিনি মঙ্গলবার সকালে আনোয়ার হোসেন, কামাল,বাবলু সর্তক হতে বলেন। একথার জের ধরে গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে হত্যা মামলার জামিনে আসা আসামী আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে কামাল, বাবলু মিলে রিনা রবি দাসের বাড়ীতে গিয়ে ঘর থেকে ডেকে এনে বাশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তার দু ঠ্যাং ভেঙ্গে দেয়।পরে রাতেই রিনা রবি দাসকে গুরুতর আহত অবস্থায় সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। রিনা রবি দাস সাবেক গ্রাম পুলিশ সদস্য মৃত মানিক রবি দাসের স্ত্রী বলে জানা গেছে।
মহিলা গ্রাম পুলিশ সদস্য রিনা রবি দাসের ছেলে রাজা রবি দাস বলেন,আমার বাবাও একজন গ্রাম পুলিশ ছিলেন। আমার গ্রামের মাদকসেবী কামাল,বাবলু,আনোয়ার হোসেন আমার মাকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে দুই ঠ্যাং ভেঙ্গে দিয়েছে। আমি এর বিচার চাই।
এ ব্যাপারে আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি ও বাবলু ফিরাতে গিয়েছিলাম। তিনি আরও জানান, এ ঘটনাটির সাথে কামাল মিয়া জড়িত।
ডোয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন রতন ঘটনার সত্যাতা স্বীকার করে বলেন,মহিলা গ্রাম পুলিশ সদস্য রিনা রবি দাস কে যারা ঠাং ভেঙ্গে দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানতে চাইলে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ আবু মোঃ ফজলুল করীম বলেন,এ ঘটনার কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।