
তৌকির আহাম্মেদ হাসু, সরিষাবাড়ী (জামালপুর)প্রতিনিধি :
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে রাস্তার পার্শ্বের গর্তে অজ্ঞাত পরিচয় লোকের রেখে যাওয়া চোখ অফুটন্ত জীবিত নবজাতক ছেলেকে গত শনিবার (৪ঠা জানুয়ারি) উদ্ধার করা হয়েছে। নবজাতক শিশুটির লালন পালনের দায়িত্ব নেয়ার জন্য উপজেলা শিশু কল্যাণ বোর্ড এর সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিহাব উদ্দিন আহমদ বরাবর পিংনা ইউনিয়নের পিংনা আর এম পাড়া গ্রামের আলহ্জ্ব আবুল হোসেন এর ছেলে আব্দুল জলিল গত রোববার ৫(জানুয়ারি)আবেদন করেছেন।
এ পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রোববার রাতে উপজেলার পিংনা আর এম পাড়া গ্রামে নবজাতক শিশুটির পালিতার বাড়ীতে গিয়ে জামালপুর জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক রাজু আহমেদ নবজাতক ছেলেটিকে আব্দুল জলিল এর স্ত্রী পূর্ণিমা বেগমের কাছে তুলে দিয়েছেন। নবজাতকটির নাম রাখা হয়েছে আব্দুল্লাহ ওয়াহিদ আলীফ। তার চোখও ফুটেছে গত শনিবার রাতে।
এ সময় সরিষাবাড়ী উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার ও উপজেলা শিশু কল্যাণ বোর্ড এর সদস্য সচিব আরিফুর রহমান,সমাজ সেবা কার্যালয়ের প্রভেশন অফিসার আব্দুস সামাদ.স্থানীয় সমাজসেবক আলহাজ্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা দলিল উদ্দিন,সাবেক সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল খালেক,উপজেলা যুব লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও পিংনা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান,সরিষাবাড়ী প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেনসহ স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিশু কল্যাণ বোর্ড এর সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিহাব উদ্দিন আহমদ বলেন,নবজাতক শিশুটির লালন পালনের জন্য আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শিশুটির সর্বোত্তম স্বার্থ বিবেচনায় পরিচর্যার জন্য আব্দুল জলিলের স্ত্রী পূর্ণিমা বেগমকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য,সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের পিংনা আর এম পাড়া গ্রামের আলহাজ্ব আবুল হোসেন গত শনিবার (৪ জানুয়ারি) ফজর নামাজ শেষে নিজ বাড়ী ফেরার সময় একই গ্রামের শামা হোসেন এর বাড়ীর সামনে তারাকান্দি-ভ’য়াপুর সড়কের পূর্ব পার্শ্বে একটি ছোট গর্তে নবজাতক শিশুটিকে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে নবজাতকটিকে তার নিজ বাড়ী নিয়ে তার পুত্রবধু পুর্ণিমা বেগম এর কোলে তুলে দেন। শিশুটিকে পেয়ে প্রথমে যমুনা সারকারখানা হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটি সুস্থ রয়েছে বলে জানান। নবজাতকটিকে দেখতে হাজার হাজার উৎসুক জনতার ভিড় লক্ষ করা গেছে। নবজাতকটি পেয়ে খুশি পূর্নিমা বেগম।
জানতে চাইলে তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মহব্বত কবীর জানান, এ বিষয়ে সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে।