
তৌকির আহামেদ হাসু ,সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধিঃ
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে লবণ সংকট গুজব রটনাকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিহাব উদ্দিন আহমেদ এর নির্দেশে ৫ সদস্যকে সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ আটক করেছে ।মঙ্গলবার বিকেলে পৌর সভার আরামনগর বড় বাজার বাধন স্টোরের সামনে থেকে তাদেরকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সরিষাবাড়ী পৌর সভার আরামনগর বাজারের বাধন স্টোরের সামনে শামীম উদ্দিনর ইউটিউবে লাইভ দিয়ে লবণ সংকট প্রচারণা চালাচ্ছিল। অপর চার জন ক্যামারায় ভিডিও করছিল।
এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিহাব উদ্দিন আহমেদ ও সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান লবণ সংকট গুজব বিষয়ে বাজারের ব্যবসায়ী ও বণিক সমিতির নেতাদের সাথে গুজবে কান না দেয়ার জন্য সচেতনতামূলক ভ্রাম্যমাণ প্রচারণাকালে গুজবরটনাকারীদেকে নজরে পড়ে।পরে তাদেরকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিহাব উদ্দিন আহমেদ পুলিশ কে আটক করার র্নির্দেশ প্রদান করেন।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সরিষাবাড়ী উপজেলা সাতপোয়া গ্রামের করিম শেখের ছেলে শামীম উদ্দিন(২১) পোগলদিঘা ইউনিয়নের সাইঞ্চের পাড় গ্রামের মৃত রশিদ মিয়ার ছেলে আকাশ(১৮), সাইঞ্চের পাড় গ্রামের মৃত আঃ হাই এর ছেলে রাফি মিয়া(১৬),ডোয়াইল ইউনিয়নের চর বালিয়াগ্রামের হাসমত আলীর ছেলে সাগর(১৭),মহাদান ইউনিয়নের মনির উদ্দিনের ছেলে শিফাত মিয়া(১৬) কে আটক করে থানা নিয়ে আসে পুলিশ। উপজেলা প্রত্যন্ত অঞ্চলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনসাধারণকে গুজবে কান না দেয়ার জন্য মাইকিং করে প্রচারণা চালাচ্ছে।সরিষাবাড়ী উপজেলার পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়নের হাট বাজার,মোড় এলাকায় পুরুষ নর- নারী এবং গরু খামারীরা লবণ ক্রয়ে ভিড় জমাতে লক্ষ্য করা গেছে। খোলা লবণ প্রতি বস্তা ৫৫০ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত প্যাকেট জাত লবণ প্রতি প্যাকেট নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দরে বিক্রি চলছিল।
সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, লবণ সংকট গুজব রটনাকালে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিহাব উদ্দিন আহমেদ জানান, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফা অর্জনের জন্য বাজারে লবণের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। দেশে লবণের কোন ঘাটতি নেই। কাজেই ব্যবসাীদের লবণ সংকট কারসাজিতে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।