
তৌকির আহাম্মেদ হাসু ,সরিষাবাড়ী(জামালপুর)প্রতিনিধি: জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ এনে গত সোমবার রাতে সরিষাবাড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের ভাটারা মধ্য পাড়া গ্রামে ২ জুলাই বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগে জানা গেছে, সরিষাবাড়ী উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের ভাটারা মধ্য পাড়া গ্রামের মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে মানিক মিয়া ভাই ভাই “স” মিলের মালিক তার “স” মিলের পার্শ্বে বসবাসরত জনৈক সংখ্যালঘু ব্যক্তিকে উচ্ছেদ করতে নানা কূট কৌশল অব্যাহত রেখেছে মানিক মিয়া। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালের ২ জুন শুক্রবার সন্ধা ৭টায় ওই ব্যক্তি বাড়ীতে না থাকার সুযোগে তার স্ত্রীকে কু-প্রস্তাবের এক পর্যায়ে সন্ধায় তাকে র্ধষণের চেষ্টা করে। এ ঘটনার বিচার প্রার্থী হয়ে ওই নারী বাদী হয়ে সরিষাবাড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। মানিক মিয়া তার উদ্দেশ্য সাধন করতে সংখ্যালঘু পরিবারটির উপর কু- নজর সার্বক্ষণিক অব্যাহত রেখেছে। চলতি বছরের (০২ -০৭-২০)ইং গত বৃহস্পতিবার রাত ৩ টার দিকে ভিকটিম প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর হতে বের হলে মানিক মিয়া তাকে জড়িয়ে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ ঘটনার বিচার প্রার্থী হয়ে ভিকটিম বাদী হয়ে ঘটনার ১২ দিন পর(১৩-০৭-২০)ইং গত সোমবার রাতে সরিষাবাড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই অভিযোগে ভাটারা মধ্য পাড়া গ্রামের মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে মানিক মিয়া ভাই ভাই “স” মিলের মালিক মানিক মিয়া কে প্রধান বিবাদী করে সরিষাবাড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।এ নিয়ে এলাকার সচেতন নাগরীকদের মাঝে সমালোচনার ঝড় বইছে। রবীন্দ্র গোপের পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে সাংবাদিকদের জানান।
অভিযোগকারী গৌরী রানী গোপ বলেন, মানিক মিয়ার অত্যচারে বাড়ী ঘরে থাকতে পারিনা। প্রসাব- পায়খানা কিংবা বাহিরে যেতে পারিনা। আমাকে দেখলে জাপটিয়ে ধরে। এগুলো কাউকে বলতেও পারিনা। উপায়ান্তর না দেখে এলাকার মাতাব্বরদের জানাই। পরে তারা থানায় মামলা করতে বলে। সে মতে আমি থানায় অভিযোগ দেই। ওই ঘটনার জের ধরে ২ জুলাই বৃহস্পতিবার গভীর রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গেলে মানিক মিয়া আমাকে জডিয়ে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
এ বিষয়ে লম্পট মানিক মিয়ার সাথে সাক্ষাত করতে তার বাড়ীতে গেলে তার ভাগিনা আনিছুর রহমান বলেন, মামা মানিক মিয়া বাড়ীতে নেই। তিনি আরও বলেন, মামা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ আবু মোঃ ফজলুল করীম জানান,অভিযোগ পাওয়া গেছে। নারী উত্ত্যক্তকারীকে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।