
মো. সাইফুল্লাহ খাঁন, রংপুর প্রতিনিধি : চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে উৎপাদনের এক তৃতীয়াংশ ন্যূনতম ৭০ লক্ষ মেট্রিক টন ধান সরকারি উদ্যোগে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয়ের দাবিতে আজ ৪ মে ২০২০ বেলা ১২.৩০ টায় কৃষক সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে রংপুরের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষক সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক পলাশ কান্তি নাগ,সদস্য সুভাষ রায়,সবুজ হাসান সাগর,সাইফুল্লাহ খাঁন প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে গোটা পৃথিবীর ন্যায় বাংলাদেশও বিপর্যস্ত। বর্তমানে শিল্প উৎপাদন বন্ধ,ব্যবসা-বাণিজ্য অচল প্রায়। এই মহামারী শেষে শুরু হবে মহামন্দা। ফলে দেশের খাদ্য চাহিদা মেটাতে কৃষি ক্ষেত্রকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত। চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে দেশে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৩ কোটি ২ লক্ষ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন। অথচ সরকার ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৮ লক্ষ মেট্রিক টন। সেই ধান ক্রয়ের ক্ষেত্রেও নানা জটিলতা ও প্রতিবন্ধকতার কারণে খোদ কৃষকরা এই সুবিধা পায় না বললেই চলে। সরকারি ক্রয় কেন্দ্রে খোদ কৃষকরা ধান বিক্রি করতে পারে না, ধান ক্রয়ের টাকা লুটপাট হয়। এ অবস্থায় ক্রয় পদ্ধতির পরিবর্তন করে হাটে হাটে ক্রয় কেন্দ্র খুলে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতি মুক্ত পরিবেশে ধান ক্রয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। ইতোমধ্যে যেসব এলাকায় ধান কাটা শেষ হয়েছে সেসব এলাকার কৃষকরা সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কারসাজির কারণে প্রতিমণ ধান ৪০০-৪৫০ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। এ সময় শুধুমাত্র রেডিও-টেলিভিশন, পত্র-পত্রিকায় বক্তৃতা-বিবৃতির মাধ্যমে ধান ক্রয়ের ঘোষণা দিলেই চলবে না, অবিলম্বে সরকারিভাবে ধান ক্রয় শুরু না করলে খোদ কৃষকরা এই সুবিধা পাবে না। স্মারকলিপিতে, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় কৃষি প্রণোদনার নামে বরাদ্দকৃত ৫ হাজার কোটি টাকা যেন লুটপাট না হয় সেক্ষেত্রে যথাযথ নীতিমালা প্রণয়ন ও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানানো হয়। এছাড়াও বিএডিসি’র মাধ্যমে কৃষকদের সার-বীজ ও কীটনাশক সরবরাহ, ক্ষতিগ্রস্ত সবজি চাষীদের ক্ষতিপূরণ,গরীব শ্রমজীবী মানুষ যারা করোনা পরিস্থিতির কারণে বেকার হয়ে পড়েছে তাদের আগামী ৩ মাসের খাদ্য সামগ্রী বিনামূল্যে নিশ্চিত করা এবং অন্ততপক্ষে ১ মাসের খাদ্য সামগ্রী ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়ে লকডাউন কার্যকর করার দাবি জানানো হয়েছে।