ক্রাইম পেট্রোল ডেস্কঃ এশিয়া মহাদেশের অন্যতম বিষধর সাপ ধরা পড়লো ঝিনাইদহের শৈলকুপায়। বুধবার রাতে ধান ক্ষেতের মোটর হাউজে আটকা পড়া এশিয়ার অন্যতম বিষধর ২টি কালাচ সাপ রেস্কিউ করল চট্রগ্রামের ভেন মরিসার্চ সেন্টারের কর্মকর্তারা। বুধবার বিকালে স্থানীয়রা এ সাপ দেখতে পায় ঝিনাইদহের শৈলকুপার চতুড়া গ্রামের ধান ক্ষেতের মোটর হাউজে। এরপর শৈলকুপার স্থানীয় যুবক নেচার এ্যান্ড ওয়াইল্ড লাইফ ফটো গ্রাফার আবীর হাসান বিষয় টি জানিয়ে দেয় চট্রগ্রামের ভেন মরিসার্চ সেন্টারের কর্মকর্তাদের। তারা এসে সাপ দুটি মোটর হাউজ থেকে রেস্কিউ করে।
আবীর হাসান জানান, এ অঞ্চলে বিষধর মন ক্রেইট প্রজাতির সাপ দেখতে পাওয়া যায়। এ সাপ এশিয়া মহাদেশের মধ্যে সর্বাধিক বিষধর সাপ বলে পরিচিত ।স্থানীয়ভাবে এই সাপ কে কালাচ বলা হয়। তবে ঝিনাইদহসহ এ অঞ্চলে এ সাপ কে কানন বোড়া বলা হয়ে থাকে।ইংরেজীতে এ সাপের নাম কমন ক্রেইট। গোখরা বাকিং কোবরার থেকেও বিষধর হয়ে থাকে এরা।
ভেন মরিসার্চ সেন্টারের ট্রেনার বোরহান বিশ্বাস জানান, কোবরা বিষধর হলেও তাদের একশো পার্সেন্ট কামড়ের মধ্যে আশি পার্সেন্ট কামড় হয়ে থাকে ফলস বাইট। অর্থাৎ বেশির ভাগ সময় আত্মরক্ষার্থে গোখরা কামড় দেয়, তবে বিষ ঢালেনা। কিন্তু এই কালাসবাকমন ক্রেইট সাপের শতভাগ কামড়েই বিষ ঢালে। আর তাদের কামড় সাধারণত টের পায়না ভুক্তভোগীরা। কোন ধরনের দাগ বা রক্তপাতের জ্বালা -পোড়াও করেনা। ফলে নীরব ঘাতকের ভুমিকার মতো এই সাপের কামড়ে মানুষ মারা যায়। প্রায়ই শৈলকুপাসহ নানা এলাকায় মৃত্যু ঘটছে এ সাপের কামড়ে। এই জাতীয় সাপের ফনা থাকেনা, দেখতে কালোর উপরে সাদা রিং থাকে। রিংগুলো গলার নিচ থেকে লেজ পর্যন্ত হয়। এরা ইঁদুর বা খাবারের খোঁজে লোকালয়ে মানুষের ঘরে চলে আসে। আর ঘুমন্ত মানুষ বেশি কামড়ের শিকার হয়।
চট্রগ্রামের এন্টিভেনাম প্রজেক্টের ভেনমরিসার্চ সেন্টারের ট্রেনার বোরহান বিশ্বাস রোমন আরো জানান, রেস্কিউ করা সাপ থেকে ভেনাম নিয়ে বাংলাদেশে এন্টি ভেনাম বানানো হচ্ছে, যেটা সরকারিভাবে ফ্রি দেওয়া হবে।