crimepatrol24
২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় সকাল ৯:১৮ মিনিট
  1. অনুসন্ধানী
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-আদালত
  6. আঞ্চলিক সংবাদ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আফ্রিকা
  9. আবহাওয়া বার্তা
  10. আর্কাইভ
  11. ইউরোপ
  12. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা
  13. উত্তর আমেরিকা
  14. উদ্যোক্তা
  15. এশিয়া

শেখ হাসিনা ৯ বার দলের সভাপতি ও ৪ বার দেশের প্রধানমন্ত্রী

প্রতিবেদক
মো: ইব্রাহিম খলিল
ডিসেম্বর ২২, ২০১৯ ৩:০৭ অপরাহ্ণ

ক্রাইম পেট্রোল ডেস্ক : ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে ৬ বছর প্রবাস জীবন কাটিয়ে দেশের মাটিতে পা রাখেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এর আগে আওয়ামী লীগের ত্রয়োদশ সম্মেলনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতেই তাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।

তারপর থেকে এ পর্যন্ত টানা নবমবারের মতো দলটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলের প্রধান হিসেবে সবচেয়ে বেশি সময় দায়িত্ব পালনের রেকর্ডও করেছেন তিনি। ৩৮ বছর ধরে দলটির শীর্ষ পদে অপ্রতিদ্বন্দ্বীভাবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তার নেতৃত্বেই আওয়ামী লীগ চারবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছে।

ইতোপূর্বে বেশ কয়েকবার দলীয় অনুষ্ঠানে দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ ছাড়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন তিনি। তবে দলটির নেতাকর্মীরা ‘শেখ হাসিনার বিকল্প নেই’ বলে তার হাতেই তুলে দেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব।১৯৮১ সালের ১৩-১৫ ফেব্রয়ারির সম্মেলনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতেই তাকে প্রথমবার আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এরপর ১৯৮৭ সালের জানুয়ারিতে চতুর্দশ, ১৯৯২ সালের সেপ্টেম্বরে পঞ্চদশ, ১৯৯৭ সালের মে মাসে ষোড়শ, ২০০২ সালের ডিসেম্বরে সপ্তদশ, ২০০৯ সালের জুলাইয়ে অষ্টাদশ, ২০১২ সালের ডিসেম্বর ঊনিবিংশ এবং ২০১৬ সালে বিংশতম সম্মেলনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগ সভাপতি নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রায় ৬ বছর পর দেশে ফিরে দলের হাল ধরার কথা স্মরণ করে শনিবার কাউন্সিল অধিবেশনে শেখ হাসিনা বলেন, বাঙালি জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করা, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়া, একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়া, বাঙালি জাতিকে বিশ্বের দরবারে মর্যাদা এনে দেয়া- এটাই ছিল জাতির পিতার একমাত্র লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই তিনি দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন তিনি পূরণ করে যেতে পারেননি। আমার একটাই লক্ষ্য, জাতির পিতার সেই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করা। স্বপ্নটা পূরণ করা। ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা, যেন অন্তত আমার বাবা-মার আত্মা শান্তি পায়। আর লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের যে স্বাধীনতা, সেটা যেন বৃথা না যায়, সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

শেখ হাসিনার জন্ম ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বেগম ফজিলাতুন্নেছার পাঁচ সন্তানের মধ্যে তিনি জ্যেষ্ঠ। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সদস্য ও রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

১৯৬৮ সালে পরমাণু বিজ্ঞানী এমএ ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনার বিয়ে হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যখন বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়, তখন বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান দুই বোন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। পরের ৬ বছর লন্ডন ও দিল্লিতে তাদের নির্বাসিত জীবন কাটে।

১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতেই তাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করার পর দেশে ফিরে আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্ব নেন তিনি। ৫ বছরের মাথায় সামরিক শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সময়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে বসেন বিরোধীদলীয় নেতার আসনে। তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ১৯৯০ সালে বিএনপির সঙ্গে মিলে এরশাদ সরকারের পতন ঘটায়। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পরাজিত হয়ে আবার বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। তার সেই সরকারের অন্যতম সাফল্য পার্বত্য শান্তি চুক্তি ও প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি। ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে হারিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার গঠন করলে তৃতীয়বারের মতো বিরোধীদলীয় নেত্রী হন শেখ হাসিনা। এরপর ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর গ্রেফতার করা হয় শেখ হাসিনাকে। দুই বছরের মাথায় ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট। সেই সঙ্গে দ্বিতীয়বারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা। এরপর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনে এবং ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনে পুনর্নির্বাচিত হয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ।

বিশ্বের নারী নেত্রীদের মধ্যে যারা সবচেয়ে বেশিদিন সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের মধ্যে শেখ হাসিনার অবস্থান তৃতীয়। শ্রীলংকার প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী সিরিমাভো বন্দরনায়েকে আধুনিক বিশ্বের প্রথম নারী সরকার প্রধান ছিলেন। শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি তিন দফায় ১৭ বছর ২০৮ দিন দায়িত্ব পালন করেন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন ভারতের প্রথম ও একমাত্র নারী প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। তিনি দুই দফায় ১৬ বছর ১৫ দিন দেশটির সরকারের নেতৃত্ব দেন।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা তিন দফায় ১৫ বছর দায়িত্ব পালনের পর বর্তমানে চতুর্থ মেয়াদে আরও ৫ বছরের জন্য দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এ মেয়াদ পূর্ণ হলে তিনি সবাইকে ছাড়িয়ে বিশ্বে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করবেন।

Share This News:

সর্বশেষ - লাইফ স্টাইল

আপনার জন্য নির্বাচিত
সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

তথ্য প্রতিমন্ত্রী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ও তৃতীয় লিঙ্গের আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শনঃ ত্রাণ বিতরণ ও বৃক্ষরোপণ

হোমনায় মোবাইল কোর্টের অভিযানে পরিবেশদূষণকারী অবৈধ কারখানা বন্ধ, ৮০ হাজার টাকা জরিমানা

শৈলকুপায় একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের সদস্যদের নিয়ে উঠান বৈঠক

কোনো নিরপরাধ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হন: প্রধানমন্ত্রী

রংপুরে হ’য়রানিমূলক মা’মলা ও পুলিশের উপস্থিতিতে ভাং’চুর ও লু’টপাটের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

রংপুরে হ’য়রানিমূলক মা’মলা ও পুলিশের উপস্থিতিতে ভাং’চুর ও লু’টপাটের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

জগন্নাথপুর-সুনামগঞ্জ সড়কে সেতু ভেঙে পড়ায় গাড়ি চলাচল বন্ধ ॥ দ্রুত চলছে নির্মাণ কাজ

প্রথম ধাপে ৬৯ হাজার ৯০৪ পরিবারকে ঘর হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী

হোমনায় বিশ্ব উৎপাদনশীলতা দিবস পালিত

জা’লিয়াতি মাধ্যমে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন চক্রের ৫ সদস্য গ্রে’ফতার

ব্যক্তিগত গাড়িতে ঈদে গ্রামের বাড়ি যাওয়া যাবে