মো. সাইফুল্লাহ খাঁন, জেলাপ্রতিনিধি, রংপুর :
রংপুর আঞ্চলিক সমবায় ইন্সটিটিউট হোস্টেলে সহকারি কুকের বিরুদ্ধে আয়া মোমেনা বেগমকে বেধড়ক মারপিট ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সদর উপজেলার শালবন মিস্ত্রীপাড়া এলাকায় অবস্থিত এ প্রতিষ্ঠানের ঘটনায় গুরুতর আহত মোমেনাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মোমেনা বেগম সিগারেট কোম্পানী এলাকার দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এই হোস্টেলে আয়ার কাজ করছেন
রংপুর আঞ্চলিক সমবায় ইনস্টিটিউট হোস্টেল সুপার রেশমা আখতার জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ইনস্টিটিউটের হোস্টেল ডাইনিং রুমে সহকারি কুক আসাদুজ্জামান আয়া মোমেনা বেগমকে মারপিট করে। খবর পেয়ে অফিসের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল থেকে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। তিনি আরোও জানান, প্রাথমিকভাবে আমরা জেনেছি বাচ্চার গায়ে পানি ছিটানোর জেরে এঘটনার সূত্রপাত হয়েছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে আয়া মোমেনা বলেন, আমার বাচ্চা তার গায়ে পানি ছিটিয়েছে বলে অভিযোগ তুলে আমাকে লাথি, মারপিট একপর্যায়ে শ্লীনতাহানির চেষ্টা করলে তার হাত পা ধরেও রক্ষা পাইনি। পরে চিৎকার শুনে অন্যরা এসে আমাকে উদ্ধার করে। তিনি আরো বলেন, ইতোপূর্বে সে আমাকে একাধিকবার মারপিট করেছে।
তবে অভিযুক্ত সহকারী কুক আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, মোমেনা আমার গায়ে প্রস্রাব ছিটিয়ে দেয়ার কারণে আমি তাকে মারপিট করেছি।
২৫ নং ওয়ার্ডের জাতীয় যুব সংহতির সভাপতি মো: আফজাল হোসেনসহ এলাকার বাসিন্দা আব্দুল করিম, বিপ্লব ডালিম ও সোলায়মান জানান প্রায় সময়ই এখানে মেয়েদের চেঁচামেচি শোনা যায়। এর আগেও এদের মধ্যে কয়েকদফা বিচার হয়েছে। কিন্তু অধ্যক্ষ সেটিকে বার বার ধামাচাপা দিয়েছেন। এখানে আয়াকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার ঘটনা গোপন করা হচ্ছে বিধায় বিষয়টি তদন্ত করতে প্রশাসন ও উর্ধবতন কর্মকতাদের হস্তক্ষেপ জরুরি।
এ ব্যপারে ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ উপ-নিবন্ধক শাহীনুর ইসলাম জানান, বিষয়টি আমি শোনার পরপরই মোমেনাকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। তবে বিষয়টি তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।