crimepatrol24
২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় সকাল ৬:০১ মিনিট
  1. অনুসন্ধানী
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-আদালত
  6. আঞ্চলিক সংবাদ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আফ্রিকা
  9. আবহাওয়া বার্তা
  10. আর্কাইভ
  11. ইউরোপ
  12. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা
  13. উত্তর আমেরিকা
  14. উদ্যোক্তা
  15. এশিয়া

রংপুরে শিশু পূর্ণিমা ধর্ষণের হত্যার রহস্য উদঘাটন, আটক২

প্রতিবেদক
মো: ইব্রাহিম খলিল
আগস্ট ১০, ২০২০ ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ

মো. সাইফুল্লাহ খাঁন, জেলাপ্রতিনিধি, রংপুর :
রংপুরে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রী পূর্ণিমা রানী রায় ওরফে সুন্দরী আত্মহত্যা করেনি। বরং তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে প্রতারক প্রেমিক সুরজিত চন্দ্র রায়। এই ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করতে পূর্ণিমার গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস টাঙিয়ে রেখে পালিয়ে যায় প্রেমিক।

দুই সপ্তাহ পর চাঞ্চল্যকর এই আত্মহত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলার প্রধান আসামি সুরজিত ও তার সহযোগী শ্যামলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৯ আগস্ট) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের কাছে এসব তথ্য জানান রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান।

তিনি জানান, মামলার প্রধান আসামি সুরজিত চন্দ্র রায় ওরফে সুজিত শনিবার (৮ আগস্ট) আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারায় স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। এতে সে নিজের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ স্বীকার করে। এর আগে ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সুরজিতের দুই দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।

আসামির দেওয়া জবানবন্দির সূত্র ধরে এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, নগরীর হাজিরহাট থানাধীন মনোহর বাবুপাড়া গ্রামের ফটিক চন্দ্র রায়ের মেয়ে স্কুল ছাত্রী পূর্ণিমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে একই এলাকার সুরজিত। প্রেমের ফাঁদে পড়ে পূর্ণিমা শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়। পূর্ণিমার মা-বাবা ঢাকায় থাকার সুযোগে গত ২৫ জুলাই সুরজিত সকালে তার বাড়িতে এসে পুনরায় শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। সাত মাসের সম্পর্কে অন্তঃসত্ত্বা হওয়া পূর্ণিমা বিয়ের জন্য সুরজিতকে চাপ দিলে ওই দিন উভয়ের মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। এক পর্যায়ে সুরজিত বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে পূর্ণিমাকে হত্যা করে ওড়না দিয়ে ঘরের মধ্যে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় ঘাতক সুরজিত তার মোবাইল ফোনটি পূর্ণিমার ঘরে রেখে যায়। পরে সেখান থেকে কৌশলে মোবাইলটি সরিয়ে নিয়ে তার নিকট আত্মীয় শ্যামলের কাছে রাখেন।

খবর পেয়ে পুলিশ পূর্ণিমার মরদেহ উদ্ধার করে সুরত হাল করার সময় তাকে ধর্ষণ ও অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি জানতে পারে। পরে এ ঘটনায় পূর্ণিমার বাবা ফটিক চন্দ্র রায় নিজেই বাদি হয়ে সুরজিতকে আসামি করে হাজীরহাট থানায় মামলা করেন। এরপর থেকে পুলিশ ওই মামলার আসামিকে গ্রেফতার ও রহস্য উদঘাটনে মরিয়া হয়ে উঠে। এই পরিস্থিতিতে আসামি সুরজিত আদালতে আত্মসমর্পণ করে আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে হত্যার দায় স্বীকার করেন।

Share This News:

সর্বশেষ - লাইফ স্টাইল

আপনার জন্য নির্বাচিত