
ক্রাইম পেট্রোল ডিজিটাল ডেস্ক।।
সম্প্রতি ভূমিকম্পের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। শুক্রবার নরসিংদীর ভূমিকম্পের রেশ কাটতে না কাটতেই আজকে আবারও দেশের দুটি স্থানে ভূকম্পন রেকর্ড করা হয়েছে। সকালে আশুলিয়ার বাইপাইলে আর সন্ধ্যায় ঢাকায় ভূকম্পন রেকর্ড করে আবহাওয়া অফিস। আজকের ভূমিকম্প রিখটার স্কেলে কম হলেও মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হয়ে এবারও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। শুক্রবার নিহত হয়েছেন ১০ জন। এ কারণে ভূমিকম্পের সময় আমাদের করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো-
করণীয়:
১. আল্লাহকে স্মরণ করুন( হাসবুনাল্লাহু ওয়ানিমাল ওয়াকিল নিমাল মাওলা ওয়ানিমান নাসির।)
২. ভূকম্পন অনুভূত হলে আতঙ্কিত হবেন না।
৩ . ভূকম্পনের সময় বিছানায় থাকলে বালিশ দিয়ে মাথা ঢেকে টেবিল, ডেস্ক বা শক্ত কোনো আসবাবের নিচে আশ্রয় নিন।
৪. রান্নাঘরে থাকলে গ্যাসের চুলা বন্ধ করে দ্রুত বেরিয়ে আসুন।
৫.বিম, কলাম ও পিলার ঘেঁষে আশ্রয় নিন।
৬. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবস্থানকালে স্কুলব্যাগ মাথায় দিয়ে শক্ত বেঞ্চ অথবা শক্ত টেবিলের নিচে আশ্রয় নিন।
৭. ঘরের বাইরে থাকলে গাছ, উঁচু বাড়ি, বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে দূরে খোলা স্থানে আশ্রয় নিন।
৮. গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, হাসপাতাল, মার্কেট ও সিনেমা হলে থাকলে বের হওয়ার জন্য দরজার সামনে ভিড় কিংবা ধাক্কাধাক্কি না করে দুহাতে মাথা ঢেকে বসে পড়ুন।
৯. ভাঙা দেয়ালের নিচে চাপা পড়লে বেশি নড়াচড়ার চেষ্টা করবেন না। কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে রাখুন, যাতে ধুলাবালু শ্বাসনালিতে না ঢোকে।
১০. একবার কম্পন হওয়ার পর আবারও কম্পন হতে পারে। তাই সুযোগ বুঝে বের হয়ে খালি জায়গায় আশ্রয় নিন।
১১. ওপর তলায় থাকলে কম্পন বা ঝাঁকুনি না থামা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে; তাড়াহুড়ো করে লাফ দিয়ে বা লিফট ব্যবহার করে নামা থেকে বিরত থাকুন।
১২. কম্পন বা ঝাঁকুনি থামলে সিঁড়ি দিয়ে দ্রুত বেরিয়ে পড়ুন এবং খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নিন।
১৩. গাড়িতে থাকলে পদচারী-সেতু, উড়ালসড়ক, গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে দূরে গাড়ি থামান। ভূকম্পন না থামা পর্যন্ত গাড়ির ভেতরে থাকুন।
১৪. ব্যাটারিচালিত রেডিও, টর্চলাইট, পানি এবং প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম বাড়িতে রাখুন।
১৫.বিল্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মাণ করুন।
বর্জনীয়:
১. দ্রুত নামার জন্য ভবন থেকে লাফিয়ে পড়বেন না।
২. উঁচু ভবন থেকে দ্রুত নামতে লিফট ব্যবহার করবেন না।
৩. বহুতল ভবন থেকে নামতে গিয়ে তাড়াহুড়া করবেন না।
৪. বারান্দায় অবস্থান করবেন না, রেলিং ভেঙে পড়তে পারে।
৫. শরীরের কোনো অংশ বিম, দেয়াল, কংক্রিটের ছাদ ইত্যাদির মধ্যে চাপা পড়লে, ধীরে ধীরে বের হওয়ার চেষ্টা করুন। যদি বের হওয়ার সুযোগ না থাকে তাহলে বেশি নড়াচড়া করা যাবে না। তাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে পারে।
৬ ম্যাচ জ্বালাবেন না। দালান ধসে পড়লে গ্যাস লিক হয়ে থাকতে পারে।
৭. চিৎকার করা যাবে না। কারণ, চিৎকারের সময় মুখে ক্ষতিকর ধুলাবালি ঢুকে যেতে পারে। পাইপে বা দেয়ালে বাড়ি দিয়ে বা মুখে শিস বাজিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করতে পারেন। সঙ্গে মোবাইল থাকলে টর্চ জ্বালিয়ে রাখুন।
















