পুঠিয়া(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বিরালদহ সৈয়দ করম আলী দারুছ-ছুন্নাত ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার শিক্ষক সেলিম হোসেন দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থেকেও নিয়মিত বেতন ভাতা তুলছেন।
মাদ্রাসা সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক সেলিম হোসেন গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ১২ তারিখ ইংল্যান্ডে গিয়েছেন। একাধিক শিক্ষকের অভিযোগ মাদ্রাসার অধ্যক্ষের যোগসাজসে তার বেতন ভাতা উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে মাদ্রাসার শিক্ষক এলাকাবাসী ও ছাত্র-ছাত্রীরা।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলা বানেশ্বর ইউনিয়নের বিরালদহ সৈয়দ করম আলী দারুছ-ছুন্নাত ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রসার প্রভাষক (জীববিজ্ঞান) সেলিম হোসেন গত বছর ছুটির জন্য আবেদন করলে ছুটি নামঞ্জুর করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। তারপরেও তিনি সেদিকে তোয়াক্কা না করে চলে যান দেশের বাইরে।মাদ্রাসার অধ্যক্ষ উক্ত শিক্ষকের সাথে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে তার বেতন বিল ব্যাংক একাউন্টে পাঠাচ্ছেন এবং যথারীতি বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন। বর্তমানে প্রভাষক সেলিম হোসেনের অনুপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদেরও পড়ালেখার ক্ষতি ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত আসেন না। আসলেও একদিন আগের স্বাক্ষর করে চলে যান। বিভিন্ন দু’র্নীতি ও অ’নিয়মের কারণে ২০১১ সাল থেকে এই পর্যন্ত তিনি তিনবার সাসপেন্ড হয়েছেন।
আরবি বিভাগের প্রভাষক হাবিবুল্লাহ বলেন, ‘আমি এই প্রতিষ্ঠানে নতুন যোগদান করেছি। যোগদানের পর থেকেই দেখছি আমাদের সহকর্মী সেলিম স্যার ও অধ্যক্ষের দু’র্নীতির অনেক অভিযোগ। শিক্ষকদের সঙ্গে অ’সদাচরণ, বিভিন্ন খাতের অর্থ আ’ত্মসাৎ ও নিয়মিত মাদ্রাসায় না আসা। স্যারের দু’র্নীতি ও অ’নিয়মের কারণে আমরা শিক্ষা অফিসার বরাবর একটা লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
প্রতিষ্ঠানের কমিটির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) সাজ্জাদ হোসেন সজল বলেন, ‘আসলে এসব বিষয় ঘটেছে সাবেক সভাপতির সময়। আমার তেমন কোনোকিছু জানা নেই। আর্থিক বিষয়গুলো যৌথ একাউন্টের মাধ্যমে অধ্যক্ষ স্যার দেখাশোনা করে।’
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লাইলা জাহান বলেন, ‘গত বছর এ বিষয়ে আমি তদন্ত করে রিপোর্ট আমাদের ঊর্ধ্বতন দপ্তরে পাঠিয়েছি। মাদ্রাসার গর্ভানিং বডি সর্বময় ক্ষমতায় রয়েছে। গর্ভানিং বডির সভাপতি এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পারে বলে এ কর্মকর্তা জানান।’