
আল মাসুদ,পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধিঃ
করোনাকালীন ও পরবর্তী সংকট মোকাবিলায় পঞ্চগড়ে স্থাপন করা হয়েছে ১৩শ’রও বেশি পারিবারিক সবজি বাগান।
উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ৩২টি করে পারিবারিক সবজি বাগান স্থাপনের এ বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
সরকারি প্রণোদনার আওতায় বাগান করার জন্য এসব পরিবারকে নগদ টাকা ছাড়াও সার, বীজ ও অন্যান্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে জানায় পঞ্চগড় কৃষি বিভাগ।
জানা গেছে,বাড়ি করে ১ শতাংশ জায়গা রয়েছে এমন সব পরিবারকে সবজির বাগান স্থাপনের জন্য নির্বাচিত করে এ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। করোনাকালেও এসব পরিবারের নিজেদের পুষ্টি চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাড়তি উপার্জনের সুযোগ হবে।
পঞ্চগড় কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রতি ইউনিয়নে ৩২টি হিসেবে সদর, বোদা,দেবীগঞ্জ তিন উপজেলায়-৩২০টি করে, তেতুঁলিয়ায় ২২৪ টি ও আটোয়ারী উপজেলায়-১৯২ টি সবজি ও পুষ্টি বাগান স্থাপন করা হয়েছে। প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ১ হাজার ৯৩৫ টাকা ও বিনামূল্যে বিভিন্ন ৮ প্রকার সবজির বীজ, বাগানের বেড়াসহ ২ হাজার ৬০০ টাকার সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
বাগান স্থাপনের ফলে নিম্ন আয়ের এসব মানুষ প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি উৎপাদিত সবজি বিক্রি করে বাড়তি উপার্জন করতে পারবে।
উপজেলার কমলাপুর গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান বলেন,আমার বাগানে পুঁইশাক,পালংশাক,লাউ,বরবটি,লা লশাক,ডাটাশাকসহ ১১প্রকার শাকসবজি আছে। এই বাগানের উৎপাদিত শাকসবজি থেকে বাড়তি আয় করে ছেলের লেখাপড়ার খরচ চলছে ।
করোনার এই সময়ে বাড়ির আঙ্গিনায় সবজি বাগান করে একদিকে পরিবারের সবজির চাহিদা মিটছে। অন্যদিকে কিছু বাড়তি আয়েরও ব্যবস্থা হয়েছে বলে কৃষক হারুন,আখিম উদ্দিন, আবুল হোসেন নামে কয়েকজন পুষ্টির বাগান মালিক জানিয়েছেন।
পঞ্চগড় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, ‘করোনাকালে এসব বাগান পুষ্টির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উৎস হবে।