আল মাসুদ, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ে দিন দিন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলছে। সমাজিক দূরত্ব মানছেন না কেউ,পবিত্র ঈদ-উল-আজহার আর বাকি ৮ দিন। ঈদ ঘনিয়ে আসায় কোরবানির পশুর হাটগুলোতে বেড়েছে মানুষের ভিড়। তবে জনসাধারণের মধ্যে বাড়েনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রবণতা। বরং মুখে মাস্কহীন ও শারীরিক দূরত্ব বিধি লঙ্ঘন করে দিব্যি হাটে হাটে ঘুরছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। পশুর হাটে জনসমাগম দেখে বোঝার উপায় নেই, করোনা ক্রান্তিতে ভুগছে দেশ।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় দেশ জুড়ে গত ২৬মার্চ থেকে দীর্ঘ দিন সাধারন ছুটির মধ্যে পঞ্চগড় জেলায় হাট বাজার গুলোতে সামাজিক দূরত্ব রক্ষায় মোটা মোটি তৎপর ছিল জেলা প্রশাসন।
কিন্তুু বর্তমানে পশুর হাট সহ অন্যান্য হাট বাজার গুলোতে সামাজিক দূরত্ব রক্ষায় জেলা প্রশাসনের তদারকিও থেমে গেছে। আবার হাট বাজার গুলোতে ক্রেতা ও বিক্রেতারা মাস্ক পড়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই উদাসীন।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) পঞ্চগড় পশুর হাটসহ জগদল,টুনিরহাট ছোট-বড় বিভিন্ন হাটে গিয়ে দেখা গেছে, দোকানে অনেক ক্রেতা- বিক্রেতা ও আড্ডা দেওয়া মানুষের মুখে মাস্ক নেই অথচ সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ঘরের বাইরে চলাচল করার সময় মাস্কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক। পশুর হাটে লোকে-লোকারণ্য দুই চার জন বাদে অনেকেরই মুখে মাস্ক দেখা যায় নি।
পঞ্চগড় পশুর হাটে ক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি কুরবানীর গরু কিনতে আসে দেখতেছি হাটে দুই একজনের মুখে মাস্ক ছাড়া অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক নাই, ঘেষাঘেষি করে মানুষ চলাচল করছে পুরো বাজার ঝুকিপূর্ণ।
ক্রেতা সিদ্দিক জানান, হাটে প্রশাসনের কোন মানুষকে দেখা যায় নি। এই হাটে পঞ্চগড় ছাড়া দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ গরু ক্রয়ের জন্য আসায় আমরা ঝুঁকিতে আছি।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন জানান, উপজেলায় ইউএনও এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ হাট বাজারে যাচ্ছেন, সাধারণ মানুষ কে সচেতন করার চেষ্টা করছেন এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা ও করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের ও উচিত নিজে থেকে সচেতন হওয়া।
যদিও হাট ইজারাদার মাইকিং এর মাধ্যমে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে হাট বসার কথা বলছে কিন্তু ইজারাদার মোটেই পশুর হাটে কোন রকম সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি মানার ব্যবস্থা করেন নি। শুধু মাইকিং এ সীমাবদ্ধতা ।