
মো: বাবুল,নেত্রকোনা থেকে: নেত্রকোনার মদন উপজেলা হাসপাতালে আহত বৃদ্ধাকে দেখতে আসায় স্বজন সুমন মিয়া (২৫) কে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শুক্রবার রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে রাত আনুমানিক সাড়ে ৩ টায় সুমনের মৃত্যু হয়।
নিহত সুমন মিয়া মদন উপজেলার তিয়শী ইউনিয়নের বালালী গ্রামের মৃত সবুজ তাং এর ছেলে। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়,মদন উপজেলা বালালী গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ৬জুন একই গ্রামের আ: গনি বেচুর উপর দৌলতপুর কালিবাড়ি মোড়ে প্রতিপক্ষ মেম্বার রিয়াজ আহমেদ হামলা করেন।
এরই জেরে ৮জুন,২০২০ প্রতিপক্ষ মেম্বার সোহেলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘর-বাড়ি ভাংচুর, লুটপাট করে এবং মেম্বার সোহেলের বৃদ্ধা মায়ের হাত-পা ভেঙ্গে দিলে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ১২ই জুন শুক্রবার আনুমানিক ২টার দিকে মেম্বার সোহেলের খালাতো ভাই সুমন মিয়া আহত বৃদ্ধা খালাকে দেখতে মদন হাসপাতালে আসা মাত্রই প্রতিপক্ষ আ: গনি বেচু মিয়া,তার ছেলে মো: সানি, ভাই জলিল মিয়া, ভাতিজা সংগ্রাম মিয়া,ভাগ্নে শহর মুল্লুক, মেয়ের জামাই বিদ্যা মিয়া,আজিজুল হকসহ ২০/২৫ জন কিছু না বুঝার আগেই সুমন মিয়াকে এলোপাতারি ছুরির আঘাতে গুরুতর আহত করে। এতে সুমনের অবস্থা অবনতি হলে দায়িত্বে থাকা মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: কাজী বুশরা আমিন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করেন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার সুমনের অবস্থা ভাল না থাকায় রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা রেফার্ড করে। ঢাকা নেওয়ার পথেই রাত আনুমানিক ৩.৩০ মিনিটে সুমনের মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে মদন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: রমিজুল হকের সাথে কথা বললে তিনি জানান, গতকালের হামলায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমন মারা গেছে। গতকাল হামলার শিকার সুমনের ভাই বাদী হয়ে মামলা করেন।
হামলার জড়িত থাকায় এজাহারভুক্ত ১ং আসামীসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছি। তিনি আরো জানান,যেহেতু আহত সুমন মারা গিয়েছে সে ব্যাপারে বিজ্ঞ আদালতে হত্যা মামলায় রূপান্তিত করার জন্য আবেদন করবো।