
আকতার হোসেন ভুইয়া,নাসিরনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)সংবাদদাতা ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে তিন ভাইয়ের অর্থায়নে করোনা সংকটে অসহায় ও উপার্জনহীন হয়ে পড়া ৬‘শ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার গোকর্ণ গ্রামের কৃতী সন্তান ডা. সৈয়দ ইসরার কামাল, উত্তরা ব্যাংক কর্মকর্তা সৈয়দ সালাউদ্দিন মুকুল ও সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা সৈয়দ মো. শাহীনের উদ্যোগে গোকর্ণ শিহাব আইডিয়াল কিন্ডার গার্টেন প্রাঙ্গণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অসহায়,গরীব মানুষের মাঝে চাল,ডাল,তেল,পেঁয়াজ,আলু ও সাবানসহ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। গোকর্ণ ইউনিয়নের ৬টি ওয়ার্ডের ৬০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন নাসিরনগর আধুনিক হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও অর্থপেডিকস বিশেষঞ্জ সার্জন ডা. ইসরার কামাল । এসময় সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা সৈয়দ মো. শাহীন,বায়িং হাউজের পরিচালক সৈয়দ জাকির হোসেন,ব্যবসায়ী সৈয়দ বাহার,এনএসএম সৈয়দ সেলিম,সৈয়দ টিটু,সৈয়দ বাপ্পি,সৈয়দ এমরান, মো. শরীফসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সুচিউড়া,ডিঘর জেঠাগ্রাম,ব্রাহ্মণশাসন ও চৈয়ারকুড়ি গ্রামের স্ব-স্ব ওয়ার্ডে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন শহীদ মাস্টার,আমির উদ্দিন মাস্টার,লোকমান হোসেন,আবুল হাসান চৌধুরী,দরস্ত মেম্বার,আতিকুর রহমান খসরু,মিছির উদ্দিন মাস্টার,মোঃ হালিম প্রমুখ।
এসময় ডা. সৈয়দ ইসরার কামাল বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে সবাই কর্মহীন হয়ে পড়েছে। জাতীয় এই সংকটময় মুহূর্তে আমরা তিনজন আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করছি সমাজের অসহায়,গরীব ও কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।তাই আমাদের পাশাপাশি যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি। তাছাড়া করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ‘আতংকিত না হয়ে সচেতন হোন, ঘরে থাকুন,সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলুন এবং সকলকে সরকারি সকল নির্দেশনা মেনে চলার জন্য অনুরোধ জানান।
সৈয়দ মো. শাহীন বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করছি। আমাদের ব্যক্তিগত প্রচেষ্টার সাথে সৈয়দা শিল্পী,সৈয়দ নলেজ,সৈয়দ নাছিম,সৈয়দ জগনু,সুমি চৌধুরী,ডা. দারা চৌধুরী,সৈয়দ কায়সার,সৈয়দ নিয়াজ,সৈয়দা নাজু,সৈয়দা রানু,সৈয়দা মুনা,মীর শোয়েব,সৈয়দ ছগির ও মীর বাচ্চু সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। আমরা তিনজন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।