
ক্রাইম পেট্রোল ডেস্ক : ধানমণ্ডিতে গৃহকত্রী আফরোজা বেগম ও তার গৃহপরিচারিকা দিতি জোড়া খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে পাঁচদিন করে রিমাণ্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত আসামিদের প্রত্যেককে পাঁচদিন করে রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
রিমাণ্ডে পাঠানো আসামিরা হলেন সুরভি আক্তার নাহিদা, মো. নুরুজ্জামান, গাউসুল আযম, মো. আতিকুল হক বাচ্চু ও বেলায়েত হোসেন।
সুরভি আক্তার নাহিদা আফরোজা আক্তারের বাসার নতুন গৃহপরিচারিকা হিসেবে যোগদান করার পরই খুনের ঘটনাটি ঘটে। মো. নুরুজ্জামান ওই বাসার নিরাপত্তা রক্ষী (গার্ড), গাওসুল আযম ওই ভবনের পরিচ্ছন্নকর্মী (ক্লিনার), আতিকুল হক বাচ্চু নিহত আফরোজা বেগমের জামাতার গাড়ির চালক ও বেলায়েত হোসেন ওই বাড়িতে কর্মরত।
মঙ্গলবার এই পাঁচজনকে আদালতে হাজির করে প্রত্যেককে দশ দিন করে রিমাণ্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক রবিউল আলম। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তারা প্রত্যেকেই জোড়া খুনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত রয়েছেন বলে সাক্ষ্যপ্রমাণে পাওয়া যাচ্ছে। আসামিদের প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। তবে রিমাণ্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উৎঘাটন করা করা প্রয়োজন।
আসামিদের মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূইয়ার আদালতে হাজির করার পর শুনানি শেষে প্রত্যেককে পাঁচ দিন করে রিমাণ্ড মঞ্জুর করা হয়।
ঘটনার পরপরই চারজনকে আটক করে ধানমণ্ডি থানা পুলিশ। গতকাল সোমবার মামলাটি তদন্তের জন্য ডিবিতে হস্তান্তর হয়। ওইদিনই সন্ধ্যায় ডিবির একটি টিম আগারগাঁওয়ের বস্তি এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে সুরভিকে গ্রেপ্তার করে।
গত ১ নভেম্বর ধানমণ্ডির ২৮ নম্বর রোডে অবস্থিত ২১ নম্বর বাসার ই-৫ ফ্ল্যাটে গৃহকত্রী আফরোজা বেগম ও গৃহ পরিচারিকা দিতি খুন হন। এই ঘটনায় ৩ নভেম্বর মৃত আফরোজা বেগমের মেয়ে অ্যাডভোকেট দিলরূবা সুলতানা রূবা ধানমণ্ডি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।