crimepatrol24
১৫ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় রাত ১:২০ মিনিট
  1. অনুসন্ধানী
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-আদালত
  6. আঞ্চলিক সংবাদ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আফ্রিকা
  9. আবহাওয়া বার্তা
  10. আর্কাইভ
  11. ইউরোপ
  12. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা
  13. উত্তর আমেরিকা
  14. উদ্যোক্তা
  15. এশিয়া

দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ বাহিনীকে ঢেলে সাজাতে হবে

প্রতিবেদক
মো: ইব্রাহিম খলিল
আগস্ট ১৭, ২০২৪ ১১:৩১ অপরাহ্ণ

 

সম্পাদকীয়:
একটি দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা অনস্বীকার্য। অনেক আলোচনা-সমালোচনা সত্ত্বেও বাংলাদেশ পুলিশ তাদের সেই দায়িত্বটুকু পালন করে আসছে। বিগত ১৫ বছর স্বৈরাচার সরকারের আমলে মূলত ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের পাঁতানো নির্বাচনে পুলিশকে ব্যবহার করে জনগণের ভোটাধিকার ও বাক্ স্বাধীনতা হরণ, বিভিন্ন সামাজিক,রাজনৈতিক,পেশাজীবী ও সর্বশেষ ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ও সমালোচনার মাত্রা চরম আকার ধারণ করে। ফলে বাংলাদেশের জনগণের নিকট পুলিশের গ্রহণযোগ্যতা একেবারে তলানিতে গিয়ে পৌঁছে। মানুষ পুলিশের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলে। এতে করে জনগণ পুলিশ ওপর মা’রমুখি হয়ে উঠে। মানুষের মধ্যে একসময় পুলিশ সম্পর্কে যে ভী’তি কাজ করত সেটি প্রায় বিলীন হয়ে গেছে। সেকারণে স্বৈরাচার সরকার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করার পর দেশের বিভিন্ন সরকারের আজ্ঞাবহ সবকিছুতে হামলার ঘটনা ঘটে। কারণ আওয়ামী লীগ ও পুলিশ লীগ ছিল একই সূত্রে গাঁথা। এ হা’মলায় অনেক পুলিশ সদস্য নিহত ও আহত হয়েছেন। এছাড়া দেশের প্রায় সবগুলো থানায় আক্রমন, থানা ঘেরাও এবং থানায় অ’গ্নিসংযোগের মতো ঘটনাও ঘটে। এহেন পরিস্থিতিতে, কিছু পুলিশ সদস্য স্বেচ্ছায় চাকুরি ছেড়ে চলে যেতেও বাধ্য হন। ফলে পুলিশের ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুন্ন হয়। পরবর্তীতে পুলিশ নিরাপত্তার অভাবে কর্মবিরতি শুরু করেন। এরপর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক সহযোগিতায় পুনরায় কর্মস্থলে যোগদান করেন। এ যেন তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীকে দেন-দরবার করে স্বামীর সংসারে ফিরিয়ে দেয়া। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে পুলিশ বাহিনীর জন্য একটি কলংকজনক অধ্যায় রচিত হয়। কিন্তু পুলিশ এখনও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে নি। কারণ একটি সুসজ্জিত বাহিনীর জন্য এরূপ পরিস্থিতি ছিল অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। পুলিশ বাহিনীর এরূপ অপ্রত্যাশিত ও বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল পুলিশ বাহিনীকে দলীয়করণের মাধ্যমে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা, দলীয় পরিচয় এবং ঘুস ছাড়া পোস্টিং ও পদনোন্নতি না দেওয়া, সিনিয়রিটি মেইণ্টেইন না করা এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অবৈধ আদেশ পালনে বাধ্য করা। মূলত এসব কর্মযজ্ঞের মূল নায়ক ছিলেন রাজনৈতিক নেতা এবং পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তা। মধ্য সারির এবং থানা লেভেলের পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জিম্মি ছিলেন বলেও তথ্য পাওয়া গেছে। তাই আমরা মনে করি, দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং পুলিশের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে হলে ওপরের স্তর থেকে অপরাধে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, পুলিশকে ঢেলে সাজাতে হবে, জনগণের নিকট পুলিশের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে হবে, ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে হবে এবং ভবিষ্যতে কেউ যাতে তাদেরকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কারণ পুলিশের কর্মবিরতির সময় দেখা গেছে, কোথা কোনো অপরাধকর্ম সংঘটিত হওয়ার সংবাদ পুলিশকে দিলেও, পুলিশের নিরাপত্তার অভাবে সেবাপ্রার্থীদেরকে সেই সেবাটুকু দিতে পারেন নি। এতে করে অপরাধ প্রবণতা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ পুলিশের কাজ অন্য কাউকে দিয়ে করানো সম্ভব নয়।

 

Share This News:

সর্বশেষ - জাতীয়

আপনার জন্য নির্বাচিত