রংপুর ব্যুরো :
দু’র্নীতির সংবাদ প্রকাশের জেরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্টের সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার ও গাইবান্ধা প্রতিনিধি রিপন আকন্দের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা ‘হ’য়রানিমূলক মামলা’ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে রংপুরের সাংবাদিকরা। সেইসঙ্গে রামচন্দ্রপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোসাব্বির হোসেনের বিরুদ্ধে অর্থ আ’ত্মসাতের অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে দুদকসহ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় রংপুর প্রেসক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।
সাংবাদিক সমাজ রংপুরের ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে দশটি সাংবাদিক সংগঠনের নেতাসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা অংশ নেন।
রংপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুব রহমান হাবুর সভাপতিত্বে মানববন্ধন সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, প্রবীণ সাংবাদিক আব্দুস সাহেদ মন্টু, দৈনিক পরিবেশের প্রকাশক ও সম্পাদক একেএম ফজলুল হক, এটিএন বাংলার রংপুর প্রতিনিধি মাহবুবুল ইসলাম, সিনিয়র সাংবাদিক ও দৈনিক সংবাদের রংপুর প্রতিনিধি লিয়াকত আলী বাদল, দৈনিক দাবানলের নির্বাহী সম্পাদক সুশান্ত ভৌমিক, রংপুর প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পী, সিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বপন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবীর মানিক, মাহিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি বাবলু নাগ, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশেন রংপুরের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম রিপন, টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন-টিসিএ রংপুরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মুকুল প্রমুখ।
বক্তারা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেন, যার বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আ’ত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে, সেই ইউপি চেয়ারম্যান মোসাব্বির হোসেন মামলা করে প্রমাণ করেছেন গণমাধ্যমকর্মীদের স্বাধীনতা বা’ধার মুখে। আমরা মনে করেছি, অর্থ আ’ত্মসাতের সংবাদের প্রকাশের পর দুদক ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কাছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু আজ উল্টো সাংবাদিকের বিরুদ্ধেই মামলা করেছেন চেয়ারম্যান। এটা সাংবাদিকদের ক’ণ্ঠরোধ করার পাঁয়তারা। আমরা এর তীব্র নি’ন্দা জানাচ্ছি।
সাংবাদিকরা আরও বলেন, চেয়ারম্যান মসজিদের অর্থ আ’ত্মসাতও করবে, আবার সাংবাদিকের নামে মামলাও করবে, এটা মানা যায় না। ওই চেয়ারম্যানের খুঁটির জোর কোথায়, তা বের করতে হবে। আগামী সাত দিনের মধ্যে হ’য়রানিমূলক এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
অন্যথায় গাইবান্ধা ও রংপুরের সকল সাংবাদিক সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি ও জেলা প্রশাসনের কার্যালয় ঘেরাওয়ের মতো বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন গণমাধ্যমকর্মীরা।