
আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
নীলফামারীর ডোমারে মানবেতর জীবন যাপনকারী অসহায় ছলেমান যখন নতুন ঘর পেলো,বেশিদিন থাকার সৌভাগ্য হলো না তার। ২মাস পরে চলে গেলেন ওপারে।
আজ বুধবার (৪মার্চ) সকাল ৮টায় সে ইন্তেকাল করেন, ইন্নালিল্লাহি——-রাজিউন। তার মৃত্যুতে মিস্ত্রিপাড়া এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। গত ২মাস পূর্বে “ডোমারে অসহায় ছলেমানের মানবেতর জীবন যাপন, যেন দেখার কেউ নেই” এমন সংবাদটি বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল ও পত্রিকায় সংবাদ প্রচার হওয়ায় প্রথমে ডোমার সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ও জাপা’র উপজেলা শাখার আহবায়ক আসাদুজ্জামান চয়ন এক বান টিন প্রদান করেন। এরপর বোড়াগাড়ী ইউপি সদস্য হাচানুর রহমান ১৫টি বাঁশ এবং ডোমার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানের সহযোগিতায় সরকারের বরাদ্দ থেকে একটি শুকনো খাবারের প্যাকেট যাতে চাউল, ডাল, চিনি, চিড়া, তেল, লবন, নুডুলস ছিল। অপর দিকে নিজস্ব অর্থায়নে ডেরবান (১৫) পিস টিন কিনে দেয় ঘর নির্মানের জন্য। এলাকার দোকানী সোনারাম ও প্রতিবেশীর সহযোগিতায় ছলেমানের প্লাস্টিক লাগানো ছেড়া ঘরটি নির্মাণ করে দেয়া হয়। কিন্তু বাদসাধে নিয়তি। ২মাস ওই নতুন ঘরে থাকার পরে আজ মৃত্যুবরণ করে। উল্লেখ্য- ছলেমান আলী (৭০) উক্ত এলাকার মৃত সমাজ উদ্দিনের ছেলে। সে নিঃসস্তানের বোঝা নিয়ে উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের ডোমার চিলাহাটি সড়ক সংলগ্ন বাগডোকরা মিস্ত্রিপাড়া ভালের কুড়া নামক ব্রীজের পার্শ্বে ভাঙ্গাচুড়া ঘরটিতে বসবাস করতো। গত ৩বছর পূর্বে তার স্ত্রীর মৃত্যুতে তিনি নিিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন। আজ তার জীবনের সমাপ্তি ঘটলো।