
মহিনুল ইসলাম সুজন, নীলফামারী॥ নীলফামারীর ডিমলায় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখা ও মেয়াদোত্তীর্ণ ড্রাগ লাইসেন্স দিয়ে ফার্মেসি পরিচালনার অপরাধে কামরুজ্জামান ওরফে কামরুল(৪৫)নামে এক ফার্মেসি মালিককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।এ সময় বেশকিছু মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধও সেখান থেকে জব্দ করা হয়।
জানা গেছে,সোমবার(২৭জানুয়ারি)সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের হাসপাতাল মোড়ের জামান ফার্মেসিতে অভিযান চালিয়ে বেশকিছু মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।এ সময়ে ফার্মেসিটির মালিকের কাছে ড্রাগ লাইসেন্স দেখতে চাইলে মালিক হালনাগাদ লাইসেন্স দেখাতে না পেরে মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স দেখান।
পরে ফার্মেসির মালিক কামরুজ্জামানকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় ভোক্তা অধিকার আইনের ৫১ ধারায় পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এই প্রতিবেদককে বলেন,নিয়মিত অভিযানের ধারাবাহিকতায় ওই ফার্মেসিতে অভিযান চালিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও ড্রাগ লাইসেন্স না পাওয়ায় ভোক্তা অধিকার আইনের ৫১ ধারায় মালিককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।এ সময় আশ-পাশের অন্যান্য ফার্মেসিগুলোর মালিকেরা দোকান বন্ধ রাখেন।আমাদের মোবাইল কোর্ট পরিচালনার উদ্দেশ্য হলো মানুষকে সচেতন করা।মানুষ পুরোপুরি সচেতন হলে আমাদের আর মোবাইল কোর্ট পরিচালনার প্রয়োজন হবেনা।
তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, অভিযানের সময়ে হাসপাতাল মোড়ের সকল ফার্মেসি আকস্মিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা তাদেরকে নতুন করে ভাবিয়ে তুলেছেন।অনেকের দাবি হাসপাতাল মোড়সহ উপজেলার অধিকাংশ ফার্মেসিতে অভিযান চালালেই পাওয়া যাবে মেয়াদোত্তীর্ণ কোনো না কোনো ওষুধ এবং ড্রাগ লাইসেন্স।তাই মালিকেরা ফার্মেসিগুলো ওই সময় বন্ধ করে রেখেছিলেন।এলাকাবাসী উপজেলা প্রশাসনের এই অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়ে তা অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন।