crimepatrol24
২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় সন্ধ্যা ৭:০০ মিনিট
  1. অনুসন্ধানী
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-আদালত
  6. আঞ্চলিক সংবাদ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আফ্রিকা
  9. আবহাওয়া বার্তা
  10. আর্কাইভ
  11. ইউরোপ
  12. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা
  13. উত্তর আমেরিকা
  14. উদ্যোক্তা
  15. এশিয়া

ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের ২৪ ঘন্টায় ভুয়া এএসপি গ্রেফতার, এএসআই বায়েজিদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

প্রতিবেদক
মো: ইব্রাহিম খলিল
অক্টোবর ১২, ২০১৯ ২:০৯ অপরাহ্ণ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :
ঝিনাইদহ পুলিশ সুপারের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে বংকিরা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এএসআই বায়েজিদের বিরুদ্ধে মামলার বাদিকে হুমকি ও হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলনের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ভুয়া এএসপি নামক হাফিজুর রহমান উজ্জ্বল হোসেন (৩০) কে গ্রেফতার করেছে কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ। ঝিনাইদহ পুলিশ সুপারের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ১১ নভেম্বর বিকাল ৫.২০ মিনিটে কোটচাঁদপুর থানার এসআই বিএম মতিয়ার রহমান পাঁচলিয়া গ্রামের বকুল অটো রাইস মিলের সামনে থেকে উজ্জ্বলকে গ্রেফতার করে। সেসময় উজ্জ্বলের নিকট থেকে একটি কালো রং এর একটি সিমফনি মোবাইল ও তার ব্যাবহৃত সিম (০১৮১৬-২০৪৫৪২) উদ্ধার করা হয়। ১০ই অক্টোবর/১৯ তারিখে গ্রেফতারকৃত ব্যাক্তিকে কোটচাঁদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পরিচয়ে ছদ্দবেশ ধারণ করে মামলা তুলে নিতে হুমকি-ধামকি, মামলা তুলে না নিলে মাদকসহ একাধিক মামলা দিয়ে ঘরবাড়ি ছাড়ার হুমকি, মাদক দিয়ে ক্রস ফায়ারে হত্যার হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অপরাধে গ্রেফতার দেখিয়ে ঝিনাইদহ কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলা নং-কোটচাঁদপুর জিআর ১৩/১৯। গ্রেফতারকৃত হাফিজুর রহমান উজ্জ্বল কোটচাঁদপুর উপজেলার পাঁচলিয়া গ্রামের মুনসুর আলির ছেলে। উজ্জ্বল পাঁচলিয়া গ্রামের বকুল পার্কের মালিক বকুলের ফুফাত ভাই ও উক্ত পার্কের একটি দায়িত্বে কাজ করে বলে জানা গেছে। ভুয়া এই এএসপি মামলার বাদিকে হুমকি ও হয়রানির করা সেই ভুয়া এএসপি উজ্জ্বলকে গ্রেফতারের কথা শুনে এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। ভুয়া এএসপি গ্রেফতার হওয়ায় ভুক্তভোগি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার জীবনা গ্রামের আহসানের ছেলে আনিচুর রহমান লান্টু ও তার ভাতিজা মৃত. লুতফর রহমানের ছেলে মতিকুর রহমান মিলন পুলিশকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

জানাগেছে, দীর্ঘদিন ধরে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার জীবনা গ্রামের আহসান হাজির ছেলে আনিচুর রহমান লান্টুর সাথে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার পাঁচলিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের সাথে টাকা পয়সা নিয়ে একটি মামলা চলে আসছিল। যা বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা আদালতে বিচারাধীন। যার নম্বর চুয়াডাঙ্গা জিআর-৫০৮/১৭। এই মামলার জের ধরে আসামীদের পক্ষ থেকে গত ৭ অক্টোবর/২০১৯ তারিখ দুপুরে ঝিনাইদহ সদরের বংকিরা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এএসআই বায়েজিদ কয়েক জনকে সাথে নিয়ে মামলার বাদী আনিচুর রহমান লাল্টুর বাড়িতে যায়। সে সময় বায়েজিদ তার মোবাইল দিয়ে কোটচাঁদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল ইসলামের পরিচয় দিয়ে জনৈক ব্যক্তি সাথে লান্টুকে (০১৮১৬-২০৪৫৪২) মোবাইল নম্বরে জোর পূর্বক কথা বলতে বলে। পরে নান্টুর ব্যাবহৃত ০১৩০৩-৩১৭৮৩৩ সিমে (০১৮১৬-২০৪৫৪২) থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল ইসলামের পরিচয় দেওয়া ফোনের অপর প্রান্তের ব্যক্তি লাল্টুকে বলে যে, আগামি কাল ১১টার মধ্যেই বংকিরা পুলিশ ক্যাম্পে গিয়ে আসামিদের ডেকে মামলা তুলে নিতে হুমকি-ধামকি দেয়। মামলা তুলে না নিলে মাদকসহ একাধিক মামলা দিয়ে ঘরবাড়ি ছাড়ার হুমকি দেয়। সেই সাথে মাদক দিয়ে ক্রস ফায়ারে হত্যা করা হবে মর্মে ভয়ভীতি দেখায়। পরের দিন ৭ অক্টোবর/২০১৯ তারিখ দুপুরে ঝিনাইদহ সদর থানার সামনে অবস্থান করা কালে লাল্টু ও সঙ্গে থাকা তার খালাত ভাই হাসানকে (০১৩০৩-৩১৭৮৩৩ ও ০১৭১৫-৬৭৫৪৮৩) এই নম্বরে মোবাইল ফোনে আবারো ওই নম্বর (০১৮১৬-২০৪৫৪২) থেকে পুনরায় হুমকি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে। যার নম্বর-৪৪৬, তারিখ ০৮/১০/১৯। পর দিন ৯ই অক্টোবর/২০১৯ ইং বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার জীবনা গ্রামের আহসান হাজির ছেলে আনিচুর রহমান লান্টু। তিনি অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার পাঁচলিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের সাথে টাকা নিয়ে একটি মামলা চলে আসছিল। যা বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা আদালতে বিচারাধীন। তারা সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ প্রসাশনকে প্রতি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন।

এ বিষয়ে কোটচাঁদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল ইসলাম বলেন, আমার এমন কোন নাম্বার নেই। ভুয়া পুলিশ কর্মকর্তা দিয়ে এই কাজটি করা হয়েছিলো।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত এএসআই বায়েজিদ হোসেন বলেন, আমি একটি ট্রাপে পড়েছিলাম ও আমাকে ব্লাকমেইল করা হয়েছিল। তিনি বলেন, আমার মোবাইলে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ফোন করে কোটচাঁদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল ইসলাম স্যারের পরিচয় দিয়ে লাল্টুর সাথে কথা বলতে চান। তাই আমি আমার ফোন দিয়ে তার সাথে কথা বলায়ে দিয়েছি। তাদের মাঝে কী কথা হয়েছে তাও আমি জানি না। এদিকে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বংকিরা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এএসআই বায়েজিদের বিরুদ্ধে ভিকিটিমের আনিত অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

Share This News:

সর্বশেষ - লাইফ স্টাইল