
তারেক জাহিদ, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহ জেলা জুড়েই চলছে অবাধে ফসলি জমিতে পুকুর খনন। ফসলি জমিতে পুকুর খননের কারণে শেষ হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি! এরই মধ্যে ফসলি জমির পুকুর থেকে মাটি খেঁকো সেসব ব্যবসায়ীরা লাখ লাখ টাকার পুরো মাটিই বিক্রয় করে ফেলছে বিভিন্ন ইট ভাটায়। মাটি ব্যবসায়ীরা ও ইটভাটার মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ার কারণে গ্রামবাসীরা মুখ খুলতে সাহস পায় না মর্মে অভিযোগ রয়েছে সাংবাদিকদের নিকট। জেলার হরিনাকুন্ডু উপজেলায় চাঁদপুর, হাকিমপুর, গিলাবাড়িয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় চলছে অবাধে ফসলি জমিতে পুকুর খনন। আবার সেসব পুকুর থেকে লাখ লাখ টাকার পুরো মাটি বিক্রয় করছে বিভিন্ন ইট ভাটায়। মাটি বোঝাই করে কাঁচা পাকা রাস্তায় চলছে ৮/১০টি ট্রাক্টর। এতে করে নতুন পুরাতন রাস্তাগুলো নিমিষেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। আবার সারা দিনে একটি রাস্তায় ৮/১০ টি ট্রাক্টর একটানা চলার কারণে ব্যাপক ধুলাবালির সৃষ্টি হচ্ছে। তাতে গ্রামের ছোট বড় সবাইকেই বাড়ির জানালা- দরজা বন্ধ করে খাওয়া- দাওয়া করতে হচ্ছে। অসুস্থ্য হয়ে পড়ার প্রচন্ড সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে শিশুসহ বয়স্কদের। এদিকে পাকা রাস্তায় মাটি বোঝাই ট্রাক্টর থেকে খসে পড়া মাটির ওপরে একটু বৃষ্টি পড়লেই সেসব সড়কে স্লিপ কেটে সারা দিন ধরেই ঘটতে থাকে সড়ক দুর্ঘটনা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার চাঁদপুর ও হাকিমপুরসহ ওই এলাকার চিহ্নিত মাটি ব্যাবসায়ী হাবিল, গঞ্জের, হাফিজ ও কাশেম নামক ব্যক্তিরা কয়েকটি ভেকু মেশিন দিয়ে ওই এলাকার বেশ কিছু ফসলি জমিতে পুকুর খনন করছে। আবার সেসব পুকুর থেকে লাখ লাখ টাকার পুরো মাটি বিক্রয় করছে বিভিন্ন ইট ভাটায়। মাটি বোঝাই করে কাঁচা -পাকা রাস্তায় চলছে ৮/১০টি ট্রাক্টর। মাটি বোঝাই ট্রাক্টরের আঘাতে নতুন পুরাতন রাস্তাগুলো নিমিষেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এলাকার চিহ্নিত প্রভাবশালী মাটি ব্যাবসায়ী ও ইটভাটার মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষকে জোর অনুরোধ জানিয়েছেন গ্রামবাসী।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চিহ্নিত মাটি ব্যাবসায়ী হাবিল, গঞ্জের, হাফিজ ও কাশেম অভিযোগ স্বীকার করে পুরনো পুকুর খনন করছে মর্মে সাংবাদিকদের জানায়।
তবে এ বিষয়ে হরিনাকুন্ডু ইউএনও যথাযথ ব্যাবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সাংবাদিকদের।