মাওলানা: শামীম আহমেদ, সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি :
দিনসমুহের মধ্যে জুমুআ’র দিন সর্বশ্রেষ্ঠ এবং বরকতময় দিন। এই দিনে সর্বাধিক পরিমাণে মহান আল্লাহর যিকর ও দরুদ শরীফ পাঠের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ দিনে গোসল করা সুন্নাত। জুমুআ’র দিনে দৃঢ় সংকল্প ও প্রস্তুতি গ্রহণ করে ঈমান ও একনিষ্ঠভাবে জুমুআ’র নামাজ আদায়ের প্রতি মনোযোগী হলে সারা বছরের ইবাদতের সমান সওয়াব পাওয়া যাবে। জুমুআ’র দিন গোসল শেষে পবিত্র ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান করে সুগন্ধি লাগিয়ে দ্রুত মসজিদে যাওয়া চিরস্হায়ী সুন্নাত। উল্লিখিত নিয়ম অনুযায়ী জুমুআ’র দিনে সর্বাগ্রে মসজিদে উপস্হিত হয়ে প্রথম কাতারে ডান দিকে বসে নীরবে ইমামের খুতবা শোনা এবং একনিষ্ঠভাবে নামাজ আদায় করা সেই আমল, যা আমলনামাযকে ওজনে অত্যন্ত ভারী করে দেয়। এমনকি হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে, জুমুআ’র দিনে যথাযথ নিয়ম অনুসারে মসজিদে যাবার পথে প্রত্যেক পদক্ষেপের বিনিময়ে এক বছরের নফল রোজা ও এক বছরব্যাপী রাত জেগে নফল নামাজ আদায়ের সমান সওয়াব আমলনামায় লেখা হয়। বিষয়টির প্রতি লক্ষ্য করুন, সামান্য একটু সতর্কতার সাথে ইচ্ছা করলেই খুবই ছোট্র ও স্বল্প শ্রম দিয়ে আমল করলে বহু সংখ্যক বছরের ইবাদাতের সমান সওয়াব অর্জন করা যায়। হযরত রাসুল (সা:) বলেন : যে ব্যক্তি জুমুআ’র দিনে যত্নের সাথে গোসল করে কোনো বাহন ব্যবহার না করে পায়ে হেঁটে দ্রুত অর্থাৎ সর্বাগ্রে মসজিদে পৌঁছে ইমামের সম্মুখে বসে নিরর্থক কাজ না করে খুতবা শুনবে সে ব্যক্তির প্রত্যেক পদক্ষেপের বিনিময়ে এক বছর রোজা রাখা ও এক বছর রাত জেগে নামাজ আদায় করার সমান সওয়াব নির্ধারিত রয়েছে। (তিরমিযী হাদীস নং ৪৯৬, ইবনে মাজাহ হাদীস নং ১০৮৭) উল্লেখিত বরকতময় হাদীসে জুমুআ’র নামাজ সম্পর্কে ছয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম বর্ণনা করা হয়েছে। সেগুলো হলো:
১.উত্তমরূপে গোসল করা,
২.মসজিদের উদ্দেশে পায়ে হেঁটে যাওয়া,
৩.মসজিদে যাবার জন্য বাহন ব্যবহার না করা,
৪.ইমামের সম্মুখে অর্থাৎ প্রথম কাতারে বসা,
৫.খুতবা শোনা ও নামাজ আদায়ের সময় কোনো ধরনের নিরর্থক কাজ না করা।
৬.মসজিদের উদ্দেশে সর্বাগ্রে বাড়ি থেকে বের হওয়া।