জগন্নাথপুর প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে একটি বাল্য বিয়ে ঘটে গেছে অনেক ঘটনা-রটনা। এ নিয়ে অবশেষে জবাব দিলেন ইউপি সদস্য রণধীর কান্তি দাস রান্টু। এসব ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানাগেছে, গত ৫ জুন দিরাই উপজেলার কদমতলি গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলের সাথে জগন্নাথপুর উপজেলার দাসনোয়াগাঁও গ্রামের সুফি মিয়ার মেয়ের বিয়ের দিন ধার্য্য ছিল। তবে মেয়ের বয়স কম থাকা নিয়ে জনমনে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় বিয়ের আগের দিন ৪ জুন কয়েকজন ব্যক্তি নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বর ও কনের বাড়িতে গিয়ে বাল্য বিয়েের বিষয়ে জানতে চান। এক পর্যায়ে বাল্য বিয়েটি সম্পন্ন হলে বরের পক্ষ থেকে তাদেরকে ৪০ হাজার টাকা দিতে হবে মর্মে মধ্যস্থ ব্যক্তির কাছে উক্ত টাকা রাখা হয়। এ বিষয়টি কনে পক্ষ তাদের স্থানীয় ইউপি সদস্য রণধীর কান্তি দাস রান্টুকে জানালে তিনি তাদেরকে টাকা দিতে নিষেধ করেন ও প্রশাসনকে জানান। খবর পেয়ে থানা পুলিশ বাল্য বিয়েটি পণ্ড করে দিয়ে কনে পক্ষের মুচলেকা নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য রণধীর কান্তি দাস রান্টুকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।
অবশেষে ১০ জুন বুধবার ইউপি সদস্য রণধীর কান্তি দাস রান্টু বাদি হয়ে সাংবাদিক পরিচয় দানকারী হিফজুর রহমান তালুকদার জিয়া, হুমায়ুন কবির, রিয়াজ রহমান,শাহ কবির মিয়া, তাদের সহযোগী আরশ আলী ময়না মিয়াসহ ৬ জনকে আসামী করে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দায়ের করেন।