চকরিয়া প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় সদ্য বিএমচর ইউপি নির্বাচনে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ভোট না দিয়ে সরকার দলীয় নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় বর্তমান চেয়ায়ম্যান ওই এলাকার মোহাম্মদ হাসান নামে এক ব্যক্তির তিন সন্তান ও তার চার ভাতিজার জন্মসনদে স্বাক্ষর না করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে ভুক্তভোগী হাসান ২২ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী মোহাম্মদ হাসান বিএমচর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বহদ্দার কাটা এলাকার আলী মদনের ছেলে।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের বহদ্দারকাটা এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ হাসান গত ১৭ মার্চ তার তিন ছেলে ও তার ভাইয়ের চার ছেলের জন্মনিবন্ধন অনলাইন ফরম পূরণ করে যাবতীয় কাগজপত্রসহ স্বাক্ষরের জন্য ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে যান। এসময় ইউপি চেয়ারম্যান জন্মনিবন্ধন ফরম ও কাগজপত্র দেখে স্বাক্ষর না করে উল্টো হাসানের জন্মনিবন্ধনের কাগজপত্র জব্দ করে অ’শ্রাব্য গা’লি-গালাজ করে তাড়িয়ে দেন। পরে তিনি ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যানকে অবগত করে ভুক্তভোগী হাসান ২২ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ভোক্তভোগী মোহাম্মদ হাসান চেয়ারম্যানের হাতে তার ছেলের ও ভাতিজাদের জব্দকৃত জন্মনিবন্ধনের কাগজপত্র সমুহ উদ্ধারপূর্বক আইনি প্রতিকার চেয়েছেন প্রশাসনের কাছে।
ভোক্তভোগী মোহাম্মদ হাসান দাবি করেছেন,
সদ্য সমাপ্ত অনুষ্ঠিত বিএমচর ইউপি নির্বাচনে বিজয়ী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ভোট না দিয়ে সরকার দলীয় নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার দায়ে বর্তমান চেয়ায়ম্যান জাহাঙ্গীর আলম ক্ষিপ্ত হয়ে আমার সন্তান ও ভাতিজাদের জন্মনিবন্ধন কাগজপত্রে সাক্ষর করেনি। চেয়ারম্যান নির্বাচনের জেরে আমাকে অ’শ্রাব্য গা’লি-গালাজ করে ও হু’মকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন। এনিয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে বিএমচর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে জন্মনিবন্ধন কন্ট্রাকে নিয়ে হাসান দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে। তার স্ত্রী-সন্তানের বাহিরে বিভিন্ন জনের ১০-১২টি জন্মনিবন্ধন সনদে স্বাক্ষর করতে আসলে তা জব্দ করা হয়। মূলত একজন টমটম চালক দিয়ে সে জন্মসনদ গুলো আমার কাছে স্বাক্ষর নিতে পাঠায়।
তিনি আরও বলেন, জন্মনিবন্ধন সনদ নিয়ে বিভিন্ন মানুষ ও জনপ্রতিনিধিরা নানা ধরণের আইনি জটিলতায় পড়েছে। কোন মানুষের জন্মনিবন্ধন নিয়ে ত্রুটি বিচ্যুতি ঘটলে তার দায়টা জনপ্রতিনিধিদের ওপর আসে। তাই যাচাই করার জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে ।