crimepatrol24
৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় বিকাল ৪:৩৯ মিনিট
  1. অনুসন্ধানী
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-আদালত
  6. আঞ্চলিক সংবাদ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আফ্রিকা
  9. আবহাওয়া বার্তা
  10. আর্কাইভ
  11. ইউরোপ
  12. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা
  13. উত্তর আমেরিকা
  14. উদ্যোক্তা
  15. এশিয়া

ঘোড়াঘাটে হে’রোইন ও ই’য়াবার বিকল্প এখন ব্যাথানাশক ট্যাবলেট

প্রতিবেদক
মো: ইব্রাহিম খলিল
ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩ ৮:০২ অপরাহ্ণ

 

মাহতাব উদ্দিন আল মাহমুদ,(মহাতাব মুহাম্মাদ সরকার)
ঘোড়াঘাট(দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দামে কম ও সহজলভ্য হওয়ায় হে’রোইন ও ই’য়াবার বিকল্প ব্যাথানাশক ট্যাবলেট মা’দকসেবীদের কাছে এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে ঔষধের দোকানগুলো ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই অবাধে বিক্রি করছে ব্যাথানাশক ট্যাবলেট।
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার পৌরশহর ও ইউনিয়নের বেশ কিছু ঔষধের দোকানসহ ভ্রাম্যমাণ মা’দক বিক্রেতারা এই ট্যাবলেট বিক্রি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অন্য মা’দকের চেয়ে সহজলভ্য এবং দামে কম হওয়ায় মা’দকসেবীদের কাছে এই মাদকের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই সুযোগে বেশি লাভের আশায় কয়েকগুণ বেশি দামে এসব ঔষধ বিক্রি করছে মা’দকসেবীদের কাছে। আর মা’দকসেবীরা মা’দকের টাকা জোগান দিতে জড়িয়ে পড়ছে নানাবিধ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট মা’দকসেবীদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়। এই ট্যাবলেটের খুচরা মূল্য ১০-১২ টাকার মধ্যে হলেও এখন প্রতিটি ট্যাবলেট ৭০-৮০ টাকা। এমনকি ১০০ থেকে দেড়শ’ টাকা দামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি হে’রোইন ও ই’য়াবার দাম অনেক গুণ বেশি হওয়ায় এ জাতীয় ট্যাবলেট ব্যবহার করে বলে মা’দকসেবীরা জানায়।
এদিকে চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশনেও তেমনভাবে এই জাতীয় ট্যাবলেটের নাম লেখা হয় না। প্রেসক্রিপশন ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে বিক্রি হচ্ছে এই ট্যাবলেট । এ কারণে বাংলাদেশ সরকার এই ট্যাবলেট নিষিদ্ধ করেছে।বাংলাদেশ সরকার এই ট্যাবলেট নিষিদ্ধ করার কারণে ভারত থেকে চো’রাইপথে দেদারছে পা’চার করে আনা হচ্ছে এই ট্যাবলেট।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মা’দকসেবী জানায়, ‘ই’য়াবা-হেরোইনের বিকল্প হিসেবে তারা টাপেন্টাডল,লোপেন্টাডল জাতীয় ঔষধ গুঁড়ো করে ইয়াবা-হেরোইনের মতো পুড়িয়ে সেবন করে। দামে কম, সহজলভ্য ও একই রকমের নেশা হয় বলে তারা এসব ব্যবহার করে।’

ওই মাদকসেবী আরও জানায়, ‘এ্যান্টি হিস্টামিন সিরাপ ও ফেনারগ্যান জাতীয় সিরাপ এবং ভিটামিন এর সাথে এসব ট্যাবলেট গুঁড়ো করে মিশিয়ে তারা ফে’ন্সিডিল এর বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার করে।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ তৌহিদুল আনোয়ার জানান, ‘টাপেন্টাডল হাইড্রোক্লোরাইড মূলত ব্যাথার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। বেশি দিন ব্যবহার করলে এটির প্রতি হে’রোইন এর মতো আসক্তি তৈরী হয়। এটি নেশা হিসেবে ব্যবহার করলে কিডনি ড্যামেজ, লিভার ড্যামেজ, ব্রেন স্ট্রোক এমনকি হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হবার সম্ভাবনা রয়েছে।’

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘এলাকার বেশ কিছু ঔষধের দোকানের উপর নজরদারি করা হচ্ছে। এর আগেও ঔষধের দোকানে নিষিদ্ধ ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট বিক্রির অপরাধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ প্রায়ই ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ মা’দক বিক্রেতা ও সেবনকারীদের গ্রেফতার করছে। পুলিশের এই অভিযান চলমান রয়েছে।’

 

Share This News:

সর্বশেষ - লাইফ স্টাইল