ক্রাইম পেট্রোল ডেস্ক:
খুলনায় প্রিণ্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন কেএমপি’র নবাগত পুলিশ কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার।
আজ বৃহস্পতিবার কেএমপি’র পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রি. সকাল ১১ টার দিকে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে নবাগত পুলিশ কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার এর সাথে খুলনার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দের একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার শুরুতে উপস্থিত পুলিশ কমিশনার উপস্থিত সাংবাদিকবৃন্দের সাথে সংক্ষিপ্তভাবে পরিচিত হন। পরিচয়পর্ব শেষে সাংবাদিকদের পক্ষ হতে খুলনা শহরে বিদ্যমান আইন- শৃঙ্খলা, অবৈধ মা’দক কারবারি, কি’শোর অপরাধ, অবৈধ অ’স্ত্র ও গু’লি উদ্ধার, চাঁ’দাবাজি, মানব পা’চার, ট্রাফিক জ্যাম, সম্পত্তি দ’খল-বেদখল, পুলিশ সদস্যদের মনোবলে ঘাটতি, পুলিশ সদস্যদের পদায়নে দু’র্নীতি ইত্যাদি নানা বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরা হয়। পুলিশ কমিশনার মনযোগ সহকারে তাদের বক্তব্য শ্রবণ করে নোট নেন।
নবাগত পুলিশ কমিশনার তার বক্তব্যে বলেন, ‘সাংবাদিকগণ সমাজের দর্পণ। পুলিশের কাজের দুর্বল দিকগুলো মিডিয়ার রিপোর্টে প্রতিফলিত হয়। সাংবাদিকগণ যাতে পুলিশি কার্যক্রমের যে কোনো প্রকার অসংগতি এবং আইন-শৃঙ্খলা সম্পর্কিত তথ্য নি:সংকোচে মিডিয়ায় তুলে ধরেন, সেজন্য অনুরোধ করেন। গত ৫ আগস্ট পরবর্তী প্রেক্ষাপটে পুলিশ এবং সাংবাদিকগণ পারষ্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে খুলনা নগরীকে একটি নিরাপদ জনপদে পরিণত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আইন শৃঙ্খলা সম্পর্কে সাংবাদিকবৃন্দের উত্থাপিত অভিযোগগুলোর বিষয়ে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
মতবিনিময় সভায় কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক এন্ড প্রটোকল) মোছা. তাসলিমা খাতুন, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, বিশেষ পুলিশ সুপার (সিটিএসবি) এম. এম শাকিলুজ্জামান, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও খুলনা প্রেসক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির আহ্বায়ক এনামুল হক ও সদস্য সচিব রফিউল ইসলাম টুটুলসহ শতাধিক সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।