খুলনা জেলা প্রতিনিধি:
গত নভেম্বর ২০২৩ সালে খুলনার খান জাহানআলী থানাধীন গিলাতলা আহমাদিয়া দাখিল মাদ্রাসার ইংরেজি শিক্ষক খন্দকার আব্দুল মালেক গিলাতলা কেডিএ আবাসিক এলাকায় নিজ বাসভবনে বাথরুমের দরজার সামনে র’ক্তাক্ত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তবে এ মৃত্যু ছিলো রহস্যজনক। ওই সময় ধারণা করা হয়েছিলো পা পিছলে বাথরুম পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়ছে। আইনি জটিলতা এড়াতে ময়না তদন্ত ছাড়াই তড়িঘড়ি করে মৃতদেহের দাফন সম্পন্ন করা হয়।
পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, খন্দকার আব্দুল মালেকের স্ত্রী এবং খুলনার দিঘলিয়ার নওশাদ মোড়লের ছেলে কওসার মোড়ল (৫৫) সাথে পরকীয়া সম্পর্কের গুঞ্জন। তবে তখন তার সত্যতা পাওয়া যায়নি। বছর যেতে না যেতেই বেরিয়ে আসলো থলের বিড়াল।
গত মঙ্গলবার মধ্য রাতে ৫৫ বছর বয়সের প্রেমিক কওসার মোড়ল প্রয়াত শিক্ষক খন্দকার আব্দুল মালেকের স্ত্রী পারভিন (৪০) সাথে গিলাতলা কেডিএ আবাসিক এলাকার বাসভবনে রঙ্গলীলা করার জন্য অবস্থান করে। বাক্ প্রতিবন্ধী খন্দকার আব্দুল মালেকের বড় ছেলে খন্দকার রেজওয়ান (২৩) ভোররাতে তার অবস্থান টের পেয়ে পরিবারের অন্য সদস্যকে ফোনে খবর দেয়।
পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রেমিক কওসার মোড়ল বাইরে পালাতে না পেরে, দুইতলা বাড়ির ছাদে পানির ট্যাংকির ভিতর লুকিয়ে পড়ে। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয় নি প্রেমিক কওসার মোড়লের। অনেক খোঁজাখুঁজি করে পানির ট্যাংকির ভিতর থেকে তাকে বের আনা হয়। পিতা হারানোর ব্যথা এবং মায়ের সাথে পরকীয়ার তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়ে প্রায়ত খন্দকার আব্দুল মালেকের দুই ছেলে।
তাতে কিছুটা আহত হন কওসার মোড়ল, দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্কের কথাও স্বীকার করেন তিনি। তবে খন্দকার আব্দুল মালেক বাথরুমে পড়ে গিয়ে মারা গেছেন না হ’ত্যা করা হয়েছে বিষয়টা এখন পরিষ্কার নয়।
খবর পেয়ে খানজহান আলী থানা পুলিশ এসে কাওসার মোড়ল কে উদ্ধার করেন এবং চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করে।