ক্রাইম পেট্রোল ডেস্ক:
কেএমপি’র আড়ংঘাটা থানা পুলিশের অভিযানে অ’স্ত্র ও গু’লিসহ হ’ত্যা মামলার ১ জন আসামিকে গ্রে’ফতার করা হয়েছে।
আজ বুধবার কেএমপি’র পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আড়ংঘাটা থানার মামলা নং-১০, তাং-২৫/০৬/২৪ খ্রি., ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজুর প্রেক্ষিতে আড়ংঘাটা থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম কর্তৃক উক্ত থানাধীন বাইপাস এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বর্ণিত মামলায় হ’ত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামি মোঃ সুজন সরকার(২৭), পিতা মোঃ দুলাল সরকার, সাং-শলুয়া ঘোনারদাড়া রোড, থানা-আড়ংঘাটা, খুলনা মহানগরীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার আসামিকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাদে আসামীর দেওয়া তথ্য মোতাবেক আড়ংঘাটা রেলস্টেশনগামী রাস্তার উত্তর পাশে পরিত্যক্ত জমির ভেড়ির উপর আম গাছের গোড়ায় ঝোপের মধ্য থেকে আসামির নিজ হাতে বাহির করে দেওয়া মতে ০১ টি পি’স্তল, ০১ টি ম্যা’গজিন এবং ০৩ রাউন্ড পি’স্তলের গু’লি নিরপেক্ষ সাক্ষীদের উপস্থিতে উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়। এ সংক্রান্তে গ্রেফতার আসামির বিরুদ্ধে আড়ংঘাটা থানায় অ’স্ত্র আইনে অপর একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তাধীন। আসামিকে যথানিয়মে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতার আসামিকে পুলিশ রিমান্ডে এনে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে হ’ত্যার ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামিদের শনাক্তপূর্বক গ্রেফতার করা হবে। একইসাথে অ’স্ত্র ও গু’লি কোথা থেকে এনেছে এবং কোথায় ব্যবহারের পরিকল্পনা ছিল সে সংক্রান্তে তথ্য সংগ্রহ করে জড়িত অন্যন্য আসামিদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৪/০৬/২০২৪ খ্রি. রাত অনুমান ১১.১৬ ঘটিকায় ভিকটিম মোঃ আরিফ হোসেন(৪০) বাড়ীতে বিদ্যুৎ না থাকায় বাড়ির বাইরে মোবাইল ফোনে কথা বলার একপর্যায়ে ফুলবাড়ী গেটের দিক হতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা মোটরসাইকেলযোগে এসে ভিকটিম মোঃ আরিফ হোসেন’কে লক্ষ্য করে গু’লি করে বাইপাস রোডের দিকে চলে যায়। গো’লাগুলির শব্দ শুনে আশে-পাশের লোকজনসহ ভিকটিমের পরিবারের লোকজন র’ক্তাক্ত অবস্থায় দেখে আরিফ হোসেনকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের পিতা মোঃ আমীর হোসেন বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করলে তৎপ্রেক্ষিতে আড়ংঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ হ’ত্যা মামলা রুজু করেন।