crimepatrol24
১৫ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় দুপুর ১২:০৫ মিনিট
  1. অনুসন্ধানী
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-আদালত
  6. আঞ্চলিক সংবাদ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আফ্রিকা
  9. আবহাওয়া বার্তা
  10. আর্কাইভ
  11. ইউরোপ
  12. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা
  13. উত্তর আমেরিকা
  14. উদ্যোক্তা
  15. এশিয়া

ঐতিহ্যবাহী কপোতাক্ষ নদ ভরাট করছে মহেশপুর পৌরসভা, দেখার কেউ নেই

প্রতিবেদক
মো: ইব্রাহিম খলিল
জানুয়ারি ২৯, ২০২০ ৩:২৪ অপরাহ্ণ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :
ময়লা আবর্জনা ফেলে ঐতিহ্যবাহী কপোতাক্ষ নদ ভরাট করেই ক্ষান্ত হয়নি ঝিনাইদহের মহেশপুর পৌরসভা। এবার নদ দখল করে সেখানে বাজার বসানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। গত কয়েক দিন ধরে ট্রলিতে করে মাটি এনে ফেলা হচ্ছে নদের মধ্যে। আগেই নদের জায়গায় বর্জ্য ফেলে ভরাট করে রাখা হয়। আর এই কাজটি এমন সময় করা হচ্ছে যখন দেশব্যাপী নদী ও খাল উদ্ধারের ঢামাডোল চলছে। স্থানিয়রা জানান, পৌরসভা কর্তৃপক্ষ এভাবে নদের জায়গা ভরাট করে সেখানে মাছ বাজার বসানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। মহেশপুর পৌর কর্তৃপক্ষ বলছেন, মাছ বাজারটি স্থানান্তরের কোনো বিকল্প নেই। কপোতাক্ষ নদটির কিছু অংশ ঝিনাইদহের মহেশপুর ও কোটচাঁদপুর উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে। এই নদের বিভিন্ন স্থানে সরকারি দলের নেতাকর্মীরা পুকুর কেটে ও মার্কেট নির্মাণ করে দখল করে নিচ্ছেন মহেশপুর উপজেলার পুরন্দপুর, খালিশপুর ও বৈচিতলাসহ বিভিন্ন স্থানে নদ দখলের মহোৎসব চলছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কপোতাক্ষ নদের ধার ঘেঁষে ইতোমধ্যে বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। নদটির দক্ষিণ পাড়ে ফেলা হচ্ছে পৌরসভার বর্জ্য আর মাটি। পৌরসভা কর্তৃপক্ষ এতোদিন বর্জ্য ফেললেও এখন মাটি ফেলছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা নাম প্রকাশ না করে জানান, তারা এই নদে মাছ ধরতেন ও গোসল করতেন। পৌরসভা ময়লা ফেলার কারণে পানি দূষিত হয়ে গেছে। এখন আর কেউ গোসল করতে নামেন না। এর আগে এই বর্জ্য ফেলা নিয়ে পত্রিকায় লেখালেখি হয়। কিন্তু ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের টনক নড়েনি।

এ বিষয়ে পৌরসভার প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, পৌরসভা যে স্থানে মাটি ফেলছেন সেখানে পাইকারি মাছ বাজার প্রতিষ্ঠা হবে। এ কারণে মাটি ফেলা হচ্ছে। জায়গাটির মালিকানা জানতে চাইলে তিনি জানান, এটা হিন্দুদের দেবত্ত সম্পত্তি। সেখানে মাছ বাজার করা হচ্ছে।

মহেশপুর উপজেলার প্রবীণ শিক্ষক এ.টি.এম খায়রুল আনাম জানান, আসলে ওই জায়গাটি কাদের তা নিশ্চিত হওয়া জরুরি।

মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুজন সরকার জানান, বিষয়টি তার জানা ছিল না। তবে খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন।

Share This News:

সর্বশেষ - জাতীয়