crimepatrol24
২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় রাত ৪:৪৪ মিনিট
  1. অনুসন্ধানী
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-আদালত
  6. আঞ্চলিক সংবাদ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আফ্রিকা
  9. আবহাওয়া বার্তা
  10. আর্কাইভ
  11. ইউরোপ
  12. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা
  13. উত্তর আমেরিকা
  14. উদ্যোক্তা
  15. এশিয়া

ইদযাত্রায় বেপরোয়া গতি নিয়ন্ত্রণে ‘স্পিডগান’ নিয়ে মাঠে থাকবে পুলিশ

প্রতিবেদক
মো: ইব্রাহিম খলিল
এপ্রিল ১৯, ২০২৩ ৮:৫৩ অপরাহ্ণ

 

 

ডেস্ক রিপোর্ট :
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইদের ছুটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবারই সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে মোটরসাইকেলে। এবার পবিত্র ইদুল ফিতরে কমবেশি এক কোটি মানুষ ঢাকা ছাড়তে পারেন। এ ছাড়া এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাতায়াত করবেন প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষ। এই বিপুলসংখ্যক মানুষের নিরাপদ যাতায়াত নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।

সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিরা বলছেন, বেপরোয়া গতির কারণে ইদযাত্রায় দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বেশি ঘটে। ইদকে কেন্দ্র করে স্বল্প সময়ে অনেক বেশি মানুষ যাতায়াত করায় গণপরিবহণের ওপর চাপ বাড়ে। দূরের যাত্রায় মোটরসাইকেল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এরপরও অনেকেই মোটরসাইকেলে গ্রামের বাড়ি যান। এ ছাড়া মহাসড়কে ধীরগতির যানবাহন চলাচল, চালকদের বিরতিহীন গাড়ি চালানো, বেপরোয়া গতি দুর্ঘটনার বড় কারণ। ইদের ছুটির সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরও আইন প্রয়োগেও দুর্বলতা থাকে। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ নিজেদের অবস্থান থেকে ব্যবস্থা নিলে ইদযাত্রায় সড়কে প্রাণহানি অনেকটাই কমানো সম্ভব হবে বলে মনে করেন তাঁরা।

দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংগঠন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ইদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ১৪ দিনে ২৮৩টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হন ৩৭৬ জন। আহত হন অন্তত দেড় হাজার মানুষ। অন্যদিকে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির হিসাব অনুযায়ী, গতবারের ইদুল আজহার সময় সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটে। সারা দেশের সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনায় নিহত হন ৩৯৮ জন।

এবারের ইদযাত্রায়ও সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির আশঙ্কা করছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। সংগঠনটি গত সোমবার একটি বিবৃতিতে বলেছে, ইদের সময় মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন। সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ বেপরোয়া গতি। যানবাহনের ৬০ কিলোমিটার গতির পরে প্রতি ৫ কিলোমিটার গতি বৃদ্ধির কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে ২ থেকে ৪ গুণ।

প্রতিবারই ইদযাত্রায় সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে মোটরসাইকেলে। এবার শুধু রাজধানী থেকে পাঁচ – ছয় লাখ মোটরসাইকেল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যেতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ধারণা করছেন। তাঁদের শঙ্কা, মোটরসাইকেলের দূরপাল্লার যাত্রা সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বাড়াতে পারে।

ইদযাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে এবং দুর্ঘটনায় প্রাণহানি কমাতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বরকতউল্লাহ খান বলেন, ‘ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। মহাসড়কের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। বেপরোয়া গতি নিয়ন্ত্রণে স্পিডগান নিয়ে পুলিশ সদস্যরা মাঠে থাকবেন।’

ন্যাশনাল টেলিকম মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) ঈদযাত্রায় ঢাকা ছেড়ে যাওয়া মোট মুঠোফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যার তথ্য বিশ্লেষণ করে। তাদের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ইদযাত্রায় ৬৫ লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়েছিলেন। এবার যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য বলছে, ঢাকা থেকে ১ কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করবেন।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) সাবেক পরিচালক অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘নিরাপদ সড়ক নিয়ে নানা সময়ে যে আলোচনা হয়েছে, সেগুলোর বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। ইদযাত্রায় দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি কমানোর মূল বিষয় গতি নিয়ন্ত্রণ। গতিসীমা নিয়ন্ত্রণে রাখা গেলে দুর্ঘটনা অনেকটা কমানো সম্ভব। উল্টো পথে গাড়ি চালানো ও মহাসড়কে ধীরগতির যান চলাচল বন্ধ এবং ওভারলোডিং (ধারণক্ষমতার বেশি পণ্য বহন) বন্ধ রাখা গেলে ইদযাত্রা কিছুটা নিরাপদ হবে।

Share This News:

সর্বশেষ - লাইফ স্টাইল

আপনার জন্য নির্বাচিত