
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :
ঝিনাইদহ গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার ইবনে সাঈখের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্তে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর গৃহায়ন ও গণপুর্ত মন্ত্রনালয় বিষয়টি তদন্তের উদ্যোগ গ্রহণ করে। আজ সোমবার তিন সদস্যের তদন্ত দল ঝিনাইদহ সার্কিট হাউসে নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার ইবনে সাঈখের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ সরেজমিন তদন্ত করতে আসছেন। গৃহায়ন ও গণপুর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন-২) মো. ইয়াকুব আলী পাটওয়ারী তিন সদস্য তদন্ত দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। গৃহায়ন ও গণপুর্ত মন্ত্রণালয়ের ১২১১ নং স্মারকের চিঠির প্রেক্ষিতে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কমিশনার (এনডিসি) আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য জানা গেছে। চিঠিতে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৭ জন সাংবাদিককে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ গণপুর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার ইবনে শাঈখ কাজ না করেই কোটি কোটি টাকার বিল উত্তোলন করেন বলে পত্রিকা ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলে খবর প্রচার হয়। খবর ফাঁস হয়ে পড়লে জুনের আগে কাজ সম্পন্ন দেখিয়ে বিল তুলে নেওয়া প্রকল্পগুলো তড়িঘড়ি করে সম্পন্ন করেন। ঝিনাইদহ শহরের চাকলাপাড়া ডরমেটরি ভবন, নন হেজেটেড ডরমেটরি ভবন, জেলা জজের বাসা, সাবডিভিশন অফিস ও গণপুর্তের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর বাসাসহ বিভিন্ন অফিস মেরামত ও রং করেন। অথচ কাজ দেখিয়ে জুনের আগেই ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার বিল তুলে নেন তিনি।
তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহ গণপুর্ত বিভাগে গত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ই-জিপি টেন্ডারের মাধ্যমে দরপত্র আহবান করা হয়। কিন্তু বিধি ভঙ্গ করে মেন্যুয়ালি নেটিফিকেশন অফ এওয়ার্ড (নোয়া) দেওয়া হয়। যা পিপি’র বিধি বহির্ভুত। প্রশ্ন উঠেছে ই-জিপি টেন্ডার আহবান করলে একজন ঠিকাদার অর্ধশত কাজ কিভাবে পায়? এ ভাবে তিনি ২/৩টি লাইসেন্সের বিপরীতে শত শত কাজ দিয়ে কোনোটি কাজ না করে আবার কোনোটিআংশিক কাজ করে ৯ কোটি টাকার বেশি টাকা লোপাট করেন।